মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের পূর্ব কামারগাঁয়ে নাজুক রাস্তার কারণে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রায় ১৫ বছরেও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির সংস্কার কাজ হয়নি। ওই রাস্তার বেহাল চিত্র দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই এক সময় এটি ইটের সলিং রাস্তা ছিল। ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ঘোষপাড়ার তালতলা থেকে নাগরনন্দী খাল সংলগ্ন বেলতলা নজরুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা রাস্তায় কাদামাটি জমে রাস্তাটি অরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বালাশুর চৌরাস্তার থেকে ফ্যান কারখানা সংলগ্ন পাকা রাস্তা থেকে বামদিকে ঘোষপাড়া হয়ে নাগরনন্দী খাল পাড়ের সাথে সংযুক্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। কাদামাটি যুক্ত অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। রাস্তায় দীর্ঘদিনের বিছানো ইট বিলুপ্ত হয়েছে গেছে। পুরো রাস্তাজুড়ে কাদামাটি ও অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এ রাস্তার পাশেই রয়েছে ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি’র বিশাল বিশাল ভবন। এছাড়াও কামারগাঁওয়ে রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাজারো মানুষের বসবাস।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন খান, রনি হাওলাদার, আনোয়ার সিকদার, শুভ, ইমরান, আবিরসহ এলাকাবাসী বলেন, বেহাল রাস্তার কারণে প্রতিনিয়ত তারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদামাটি জমে যায়। বৃদ্ধ, শিশু, অসুস্থ রোগীসহ জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারি। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করনে এলাকাবাসী।
ভাগ্যকুলের স্থানীয় ইউপি সদস্য আইউব খান নাজুক রাস্তায় মানুষের ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার জানামতে প্রায় দেড়যুগ আগে রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছিল। গেল ইউপি নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্টগণ রাস্তাটি মেপে গেছেন। আমিও ইউনিয়ন পরিষদের সভায় রাস্তাটির সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কথাবর্তা চলছে।