ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চার শর্তে ফারইস্ট লাইফের পর্ষদ পুনর্গঠন

চার শর্তে ফারইস্ট লাইফের পর্ষদ পুনর্গঠন

চার শর্তে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ ফের পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ জন স্বতন্ত্র পরিচালক এবং শেয়ার ধারণের মাধ্যমে ৪ জন মনোনীত পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলো- শেখ কবির হোসেন, ডা. লাফিফা জামাল, মোজাম্মেল হক, মো. ইব্রাহিম হোসেন খান, শেখ মামুন খালেদ এবং ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। মনোনীত পরিচালকরা হলো— আলহাজ মো. হেলাল মিয়া, ফারইস্ট সিকিউরিটিজ, ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল ও জুপিটার বিজনেস।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান, ডিএসই, সিএসই এবং সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান, সদ্য নিয়োগ দেওয়া স্বতন্ত্র পরিচালক এবং মনোনীত পরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জারি করা চিঠিটি এই চিঠি জারির পর বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে কমিশন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠনে সম্মতি দিয়েছে। ছয় ব্যক্তিকে স্বতন্ত্র পরিচালক এবং চারজনকে শেয়ার ধারণের মাধ্যমে মনোনীত পরিচালক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ ফের পুনর্গঠনের শর্তগুলো মধ্যে রয়েছে, পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের বিষয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি থাকবে। সেই সঙ্গে পরবর্তী সাধারণ সভায় পোস্ট-ফ্যাক্টো হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে। ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ, জুপিটার বিজনেস লিমিটেড ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করে আছে।

এজন্য তাদেরকে কোম্পানিটির মনোনীত পরিচালক নির্ধারণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের মধ্য থেকে এক বা একাধিক ব্যক্তি হতে পারে। কোম্পানিটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কমিশনের নূন্যতম শেয়ার ধারণের নির্দেশনা অনুযায়ী কমপক্ষে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালকদের ২ শতাংশ এবং কোম্পানির উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের দ্বারা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার বজায় রাখার বিষয় নিশ্চিত করতে হবে৷ অপরদিকে উপরোক্ত শেয়ারসহ কোম্পানির উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের হাতে থাকা সমস্ত শেয়ার ব্লক-মডিউলের অধীনে লক-ইন থাকবে।

ডিএসইর সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ছিল ৭৫ টাকা। গতকাল সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১০৭ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩২ টাকা। ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘এ ক্যাটাগরি’ ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৫১ শেয়ার। কোম্পানির মোট শেয়ারের ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে । এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও বাকি ৩০ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন