চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে কমেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি। দেশের বাজারে আদার সরবরাহ বেশি থাকায় চাহিদা কম। তাই পণ্যটির আমদানি কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় মূল্যও হ্রাস পেয়েছে পণ্যটির। এক মাসের ব্যবধানে পাইকারিতে দাম কমেছে মণপ্রতি ৪০০-৪৮০ টাকা পর্যন্ত। যার প্রভাব পড়েছে জেলার খুচরা বাজারেও।
আড়তদার এবং ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিম্নমুখী। চাহিদা না থাকায় ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানিও কমে গেছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্র জানিয়েছে, দেশীয় বাজারে আদার চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানি নিম্নমুখী। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে আদা আমদানি হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৬৯ টন। যার মূল্য ৪৫৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ হাজার টন কম।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বন্দর দিয়ে আদা আমদানি হয়েছে ৫৬ হাজার ৯৩২ টন, যার মূল্য ৪৮৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
জানা যায়, সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা বিপণি আড়ত মেসার্স মামা ভাগ্না ভাণ্ডারের আমদানীকৃত ভারতীয় আদা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে, যা তিন-চার সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন বলেন, সম্প্রতি আদা আমদানি কিছুটা কমেছে। গত সাত মাসে আমদানীকৃত আদা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছিল ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ফলে চলতি অর্থবছরে প্রায় ২ কোটি টাকা কম রাজস্ব এসেছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি