পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও শক্তি খাতের ১৮টি কোম্পানির মধ্যে ১১টির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২১-২০২২ অর্থবছর) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। একই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৭ কোম্পানির। কোম্পানিগুলোর দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমা কোম্পানিগুলো হলো- তিতাস গ্যাস, জিবিবি পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার, মবিল যমুনা, সামিট পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা, খুলনা পাওয়ার, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, পাওয়ার গ্রিড, যমুনা অয়েল এবং এসোসিয়েটেড অক্সিজেন। ইপিএস বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, ইউনাটেড পাওয়ার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন, বারাকা পাওয়ার, ডেসকো, পদ্মা অয়েল, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেমস এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২১-২০২২ অর্থবছর) সবচেয়ে বেশি ইপিএস বেড়েছে ইউনাটেড পাওয়ার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৬ দশমিক ৮৫ টাকা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ দমমিক ৪৫ টাকা। এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৮ পয়সা। বারাকা পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৬ পয়সা।
ডেসকোর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ পয়সা। পদ্মা অয়েলের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৫ দশমিক ৯২ টাকা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ দশমিক ৮০ টাকা। ডরিন পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেমসের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২ দশমিক ৩৩ টাকা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৬ দশমিক ৫১ টাকা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ দশমিক ৭০ টাকা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২১-২০২২ অর্থবছর) সবচেয়ে বেশি ইপিএস কমেছে ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্টসের। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ দশমিক ২২ টাকা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ দমমিক ৯৪ টাকা। তিতাস গ্যাসের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৫ পয়সা। জিবিবি পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা।
শাহজিবাজার পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ দশমিক ১৯ টাকা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ দশমিক ৫৮ টাকা। মবিল যমুনার দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ দশমিক ৫০ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ দশমিক ৫৩ টাকা। সামিট পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ দশমিক টাকা।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯২ পয়সা। যমুনা অয়েলের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪ দশমিক ৭৬ টাকা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ দশমিক ৫৭ টাকা। খুলনা পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৬ পয়সা। পাওয়ার গ্রিডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৯৩ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ দশমিক ২৬ টাকা। এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৫ পয়সা।
আনন্দবাজার/শহক