দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের বরফকলের পরিত্যাক্ত ‘অবকাঠামো ও গুমটিঘর’ নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলপথে মাছ ও কাছিম প্রেরণের সময় সেগুলো সংরক্ষণের জন্য এ বরফকলের বরফ ব্যবহার করতো মাছ ব্যবসায়ীরা।
সময়ের ব্যবধানে বরফকলটি কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। তবে বরফকলের অবকাঠামো ও গুমটিঘরটি রয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলে পার্বতীপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তের রেলইয়ার্ডে অবস্থিত পরিত্যক্ত এ স্থানটি বরফকল নামে পরিচিতি।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বতীপুর শহরে গড়ে উঠেছে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গাছপালা ছায়ায় ঘেরা পরিত্যাক্ত এ অবকাঠামো ও গুমটি ঘরটি বর্তমানে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। আর একে ঘিরে সন্তানদের বিপদগামী হওয়ার শংকায় বাড়ছে অভিভাবকের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
ওই অবকাঠামোর পূর্বদিকে রয়েছে পার্বতীপুর আদর্শ ডিগ্রী কলেজ, মহিলা বিএম কলেজ, রুস্তম নগর মাদ্রাসা ও একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা এখানে আড্ডা জমায়। জড়িয়ে পড়ে মাদকসহ নানা অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে।
পার্বতীপুর শহরের রুস্তম নগর মহল্লার আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী ও আদর্শ কলেজ পাড়া মহল্যার জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, অবিলম্বে পরিত্যাক্ত ‘অবকাঠামো ও গুমটি ঘর’ গুড়িয়ে দেয়া হোক। পরিত্যাক্ত অবকাঠামো ও গুমটি ঘরটি গুড়িয়ে দিলে সমস্যা বহুলাংশে দুর হবে।
পার্বতীপুরে রেলের উদ্ধর্তন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (পরিদশক কর্ম) তহিদুল ইসলাম বলেন, একসময় রেলপথে মাছ ও কাছিম পরিবহনে বরফকলের প্রয়োজন ছিল। এখন এর কোনো প্রয়োজন নেই। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে আমরা যেকোন সময় পরিত্যাক্ত অবকাঠামো ও গুমটি ঘরটি ভেঙ্গে দিতে প্রস্তুত রয়েছি।
আনন্দবাজার/শহক