প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের এই অধিকার পূরণকল্পে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা গবেষণার ওপর এখন গুরুত্ব দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেছেন।
‘সু-স্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ২ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। প্রতিবছর এ দিনটিতে দিবসটি উপলক্ষে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। জনসাধারণের সচেতন উপলব্ধি ও সমন্বিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইনের প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বেগবান করা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসাধারণের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। জনসাধারণের সচেতন উপলব্ধি ও সমন্বিত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইনের প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বেগবান করা সম্ভব।’
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অংশীজনদের প্রায়োগিক ভূমিকার মাধ্যমে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে আমাদের একটি সংবিধান উপহার দেন, যে সংবিধানে তিনি মৌলিক বিষয়গুলি যেমন: অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেখানে খাদ্যটাকেই সবচেয়ে বেশি তিনি গুরুত্ব দেন।
সেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে এ দেশের গণমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিপপ্লবের মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এঁকেছিলেন। সেই স্বপ্নের আলোকে বাস্তবায়িত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘রুপকল্প-২০২১’। ‘রুপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়ন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।
তিনি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে নেয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
আনন্দবাজার/শহক
