ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগদ-বিকাশে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে চায় ডিএসই

নগদ-বিকাশে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে চায় ডিএসই

অনেকে ব্যাংক হিসাব খুলেন না কিন্তু সবার হাতেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের একাউন্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা সম্ভব। সেই লক্ষে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হিসাব বিও একাউন্টের সাথে যুক্ত করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আরো বাড়াতে নতুন চিন্তা ভাবনা করছি।

সোমবার থ্রিআই সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর শেয়ার কেনা-বেচা শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূইয়া এ কথা বলেন।

তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, এখন অনেকের ব্যাংক হিসাব না থাকায় বিও হিসাব খুলতে পারে না। ব্যাংক একাউন্ট না থাকলেও বিকাশ, নগদ বা উপায়ের হিসাব লিংক করা গেলে নতুন ইনভেস্টমেন্ট আসতে পারে। ইতোমধ্যে বিকাশের সাথে আলোচনা শুরু করেছি, যাতে তাদের একাউন্টগুলোকে বিও হিসাবে সাথে লিংক করা যায়। এটা খুব প্রয়োজন। অনেকে ব্যাংক হিসাব খুলেন না কিন্তু সবার হাতেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের একাউন্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা সম্ভব।

তারিক আমিন বলেন, “আমরা চাইবো নতুনরা পুঁজিবাজারে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী আনবেন। অবশ্যই কিছু বিদ্যমান বিনিয়োগকারীই তো ক্লায়েন্ট থাকবে কিন্তু নতুন বিনিয়োগকারী আনতে হবে। নতুন বিনিয়োগকারী ছাড়া মার্কেট গ্রো করবে না।”

মার্কেট ক্যাপিটাল টু জিডিপি রেশিও অনেক কম জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি মার্কেটকে গ্রো করতে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন জিডিপির ২০ শতাংশ। এখান থেকে বের হতে পারছি না। জিডিপি যে হারে বাড়ছে, পুঁজিবাজার সেভাবে বাড়ছে না।

এখন দেশের জিডিপি ৪০৯ বিলিয়ন ডলার আর মার্কেট ক্যাপিটাইজেশন ৭০ বিলিয়নের কাছাকাছি জানিয়ে তিনি বলেন, জিডিপি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কেট ক্যাপ সেভাবে আগাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি ফরেন ও লোকাল বিনিয়োগ বাড়াতে। পুঁজিবাজার এখন শহর পর্যায়ে আছে, গ্রাম পর্যায়ে যাবে। এই জন্য ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির ব্যবস্থা করতে হবে। এখন গ্রামে প্রচুর ইনভেস্টবেল ফান্ড আছে, কিন্তু তাদের শুধু লিটারেসি নেই। সেটা দেওয়া গেলে নতুন নতুন ফান্ড পুঁজিবাজারে আসবে।

থ্রিআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার ইস্তাক আহমেদ বলেন, ব্রোকারেজ হাউস থেকে বিনিয়োগকারীদের কোন পরামর্শ দেওয়া হয়না। কিন্তু আমরা নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরামর্শ দিবো। কেবল পুঁজিবাজারের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীই নয়, আমরা নতুন নতুন বিনিয়োগকারী আনবো। বড় বড় উদ্যোক্তাদের ফান্ড নিয়ে আসবো, যা দেশের পুঁজিবাজার তথা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

জানা যায়, থ্রিআই সিকিউরিটিজ নতুন প্রজন্মের একটি ব্রোকারেজ হাউস। ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কীমের আওতায় নতুন ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এসব অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্রোকারেজ হাউস ডিএসইর মালিকানা পাবে না। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট হোল্ডারদের মধ্যে থ্রিআই সিকিউরিটিজ প্রথম শেয়ার লেনদেন শুরু করলো।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন