পুঁজিবাজারে সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর। আগের কার্যদিবস থেকে এদিন ডিএসইর লেনদেন পরিমাণ কমেছে। গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) এদিন (সোমবার) ৭২ দশমিক ১১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৬৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সিএসইর ৭৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়। এদিন উভয় স্টকের ১৮ দশমিক ২৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং সিএসইর ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের বাড়া-কমাকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিন ডিএসইতে সিরামিক খাতের শতভাগ কোম্পানির কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এছাড়া এদিন সিমেন্ট, বিবিধ, চামড়া, বিমা, ওযুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বস্ত্র, টেলিকমিউনিকিশন, পেপার, আইটি, জ্বালানি ও শক্তি, ব্যাংক, ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এদের মধ্যে সিমেন্ট খাতের ৮৬ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৮৬ শতাংশ, চামড়া খাতের ৮৩ শতাংশ, বিমা খাতের ৮১ শতাংশ, ওযুধ ও রসায়ন খাতের ৭২ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৭১ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ৬৭ শতাংশ, টেলিকমিউনিকিশন খাতের ৬৭ শতাংশ, পেপার খাতের ৬৭ শতাংশ, আইটি খাতের ৬৪ শতাংশ, জ্বালানি ও শক্তি খাতের ৬১ শতাংশ, ব্যাংক খাতের ৬১ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। পুঁজিবাজারের কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের হ্রাস স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন না বিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে সোমবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৫ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস রবিবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ২৬৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৪টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯২৬ দশমিক ২৯ পয়েন্টে।
এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট ও ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৫৫৯ দশমিক ১৪ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৪৮১ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে। টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- ইউনিয়ন ব্যাংক, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ন্যাশনাল পলিমার, কুইন সাউর্থ, ওরিয়ন ফার্মা, সাইফ পাওয়ারটেক, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, মালেক স্পিনিং, এশিয়া ইন্স্যুরন্স।
অপর পুঁজিবাজারে সোমবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ২২৮টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৩টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯০ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২৯৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১৪ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০৪ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১১৪ দশমিক ১১ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫০০ দশমিক ১১ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৯৪ দশমিক ১৯ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৬৫ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। টাকার অংকে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- আরডি ফুড, বেক্সিমকো, ন্যাশনাল পলিমার, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, কুইন সাউর্থ, লার্ফাজ-হোল্ডসিম, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বে-লিজিং, ওয়ান ব্যাংক, জিবিবি পাওয়ার ।
আনন্দবাজার/শহক