শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ধনী-গরিবের ব্যবধান থাকবে না

দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ধনী-গরিব থাকবে না। প্রতিটি জনগণের মধ্যে সমতার বিধান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ধনী-গরিব থাকবে না। প্রতিটি জনগণের মধ্যে সমতার বিধান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩য় এবং সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৪র্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।
ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) এর বৈশি^ক জিডিপি ৪.৪ হবে চলতি অর্থবছরে সেখানে বাংলাদেশের হবে ৬.৬ শতাংশ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ একটি রেখা ধরে কথা বলে থাকে। এটি উত্তরণ করাও সম্ভব। চলতি অর্থবছরে আমাদের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭.২ শতাংশ। আমরা লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যহত থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের পর্যায়ে উত্তরণ ঘটবে। গ্রাম ও শহরের মধ্যে আয়-ব্যয়ের ব্যবধান কমে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হয়ে উঠবে।

বিদেশে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, যারা আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত তাদেরকে ২০-২৫ শতাংশ অর্থ বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে সেসব দেশে আমাদের জনশক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গতকালের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ৩টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত-কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে সবগুলোই পাস হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৭টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৩টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, জননিরাপত্তা বিভাগের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় সংক্রান্ত -কমিটির অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১,৩৮৭ কোটি ৩৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৪৪৯ কোটি ৪২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৮১ টাকা এবং দেশিয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ ৯৩৭ কোটি ৯০ লক্ষ ৩২ হাজার ১৮৩ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  খাদ্যপণ্য সংকটে বিশ্ব

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন