করোনার নতুন ধরনের নিওকোভ সাউথ আফ্রিকায় বাদুড়ের দেহে খোঁজ পেয়েছেন চীনের উহানের বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, এটি অন্য প্রাণীর দেহেও ছড়িয়েছে। তবে এটি এখনও কোনো মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন কীনা- তার নিশ্চিত তথ্য নেই তাদের কাছে।
এছাড়াও এটি এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া করোনার সব ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক ও প্রাণঘাতী বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। নতুন ধরন নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নতুন এই ধরনটির বৈজ্ঞানিক নাম -পিডিএফ-টুওয়ানএইটজিরো কোভ। যার সাধারণ নাম নিওকোভ। আর এটি নতুন ধরনে আক্রান্ত ভেসপার বাদুড়ের এক প্রজাতি নিওরোমিসিয়া থেকে নামকরণ করা হয়েছে।
এতে উহান ইউনিভার্সিটি এবং চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অব বায়োফিজিক্সের এক দল গবেষক বলেছেন, মানুষের কোষে নিওকোভের অনুপ্রবেশের জন্য শুধুমাত্র একটি মিউটেশন প্রয়োজন।
তারা আরো বলছেন, নিওকোভ- সার্স-কোভ-টু বা এর কোনো ধরন নয়। বরং এর সঙ্গে ২০১২ ও ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যে শনাক্ত মিডল-ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম -মার্সের এর সাথে অনেক মিল আছে।
উহানের বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, মৃত্যু ও সংক্রমণের দিক দিয়ে করোনার ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে নতুন ধরন নিওকোভ। এটি আরও পরিবর্তিত হলে ভবিষ্যতে মানুষের জন্য ব্যপক আকারে হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
গবেষকদের আশঙ্কা, নিওকোভ আক্রান্ত হলে প্রতি তিনজনে একজনের মৃত্যু হতে পারে। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকায় এর প্রতিরোধ সম্ভব না, দাবি তাদের।
উহান ইউনিভার্সিটি ও চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অফ বায়োফিজিকসের ছাপা গবেষণাপত্রটির এখনও পিআর রিভিউ হয়নি। তবে মানবসভ্যতার জন্য নিওকোভ ধরনটি কতোটুকু মারাত্মক- তা জানতে গবেষণার প্রয়োজন- বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আনন্দবাজার/শহক