৫ ঘণ্টা পুড়িয়ে থামল নারায়ণগঞ্জে বন্দরের মদনপুরে জাহিন টেক্সটাইলের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় নিভেছে কারখানার চারটি ভবনে লাগা এ আগুন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন।
উপজেলার মদনপুরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওই কারখানায় শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাত কিলোমটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে এ পথে যাতায়াত করা যাত্রীরা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনও জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি ভবনে তল্লাশি চালানো হবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সোনারগাঁও, বন্দর ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ঢাকা থেকে আরও তিনটি ইউনিট পাঠানো হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন।
কারখানার শ্রমিকদের সরদার জসিম মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার হওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি ছিল তাই কারখানা বন্ধ ছিল। তবে কয়েকটি ইউনিটে কাজ চলছিল।
কারখানার ৫ নম্বর ইউনিটের শ্রমিক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘কারখানার নিট সেকশন বন্ধ কিন্তু ফিনিশিং ও ওপেন সেকশনে কাজ চলছিল। কারখানার ৫ নম্বর ইউনিটে কাজ করা অবস্থায় হঠাৎ দেখি ওপর তলায় আগুন জ্বলছে। প্রথমে দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। এর পর দেখি ওপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। তারপর ছড়িয়ে পড়ে।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘চারটি দোতলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে যায়। কারখানার পরিসর বড় হওয়ায় এবং আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের বেগ পেতে হয়।
‘তবে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকা পড়েননি তা আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। কোনো হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।’
উল্লেখ্য, জাহিন নামের এই প্রতিষ্ঠানটির স্পিনিং মিলে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি আগুন লেগেছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছিল কোম্পানিটি। সেখানে বলা হয়, প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে পুড়েছিল স্পিনিং মিল। তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আনন্দবাজার/এম.আর