ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপানি বিনিয়োগের গন্তব্য বাংলাদেশ- জাপানি রাষ্ট্রদূত

জাপানি বিনিয়োগের গন্তব্য বাংলাদেশ
  • আগামী বছরই জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি উদ্যোক্তাদের জন্য অবস্থিত বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগামী বছরই উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ তথ্য জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জানান, ভবিষ্যতে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য হবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আড়াইহাজারে স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে। তবে এজন্য বিনিয়োগ পরিবেশকে আরো সহজ করার জন্য আহ্বান জানান ইতো নাওকি।

বিশেষ করে পরিচালন মূলধনের জন্য ঋণের যোগান, ঋণপত্র খুলতে বিলম্ব, আয়কর ও ভ্যাটের উচ্চহার, বন্ড লাইসেন্সের নবায়ন জটিলতা, ইপিজেড এর কারখানাগুলোর সাথে বাইরের শিল্পের মজুরি পার্থক্যকে জাপানি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা বলে মন্তব্য করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। এসব সমস্যার সমাধান হলে এদেশে জাপানি বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলে মনে করেন ইতো নাওকি।

এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শতাধিক জাপানি কোম্পানি বহু বছর ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছে। পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পেও বাংলাদেশের অন্যতম বড় অংশীদার জাপান। তাছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারের আকারও বেড়েছে। এদেশে জাপানি পণ্যের জনপ্রিয়তাও তূলনামূলক বেশি। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা যেকোনো জাপানি কোম্পানির লাভজনক হবার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের নেয়া অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন নীতি সহায়তার কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী ও মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক মো. নাসের, প্রীতি চক্রবর্তী ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন