শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

অনেক মানুষই এখন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। এ রোগের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু তারপরও উচ্চ রক্তচাপের মতো অসুখ ঠেকিয়ে রাখতেই হয়। জীবনযাপনের ধরন সবটা পাল্টাতে না পারলেও কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়।

গ্রিন টি: শরীরের মেটাবলিজমকে বাড়ায় গ্রিন টি। শুধু তাই নয়, এর পলিফেনল ব্লাড প্রেশারকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় এই ধরনের পানীয় রোগের হানা ঠেকাতেও কাজে আসে।

সেলেরি জুস: সেলেরিতে ৩-এন বিউটিলফথ্যালাইড থাকে। এটি রক্তবাহী নালির পেশীর প্রাচীরে চাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে না। উল্টে রক্তের চলাচল সহজ করে।

ব্রকোলি: ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের প্রাচুর্য থাকায় এই সব্জি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখ থাকলে ব্রকোলি রাখুন পাতে।

বেদানার রস: রক্তাল্পতা ঠেকাতে অনেকেই বেদানায় ভরসা রাখেন। এই ফল কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই নিয়ম করে এই ফল ডায়েটের তালিকায় রাখুন।

কলা: পটাশিয়াম বেশি থাকায় এটি রক্তচাপ কমাতে খুবই কার্যকর। কলা তাই উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম সেরা সমাধান। যে সব ফল রোজের পাতে রাখলে বিশেষ উপকার মেলে, কলা তার অন্যতম।

পিয়াজ: রক্তবাহর প্রাচীরের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন। এই উপাদান পিঁয়াজের মধ্যে অনেকটা থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কাঁচা পিঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসকই। এ ছাড়া উদ্ভিদের বিশেষ রঞ্জক কুয়েরসেটিন পিঁয়াজের গায়ে উপস্থিত থাকে। এটিও রক্তচাপ কমাতে পারদর্শী।

ওটমিল: উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার অথচ ফ্যাট খুবই নগণ্য, এটাই ওটমিলের বিশেষত্ব। কোলেস্টেরলকেও ঠেকিয়ে রাখে এই খাবার। তাই ওটমিলকে রাখুন পাতে।

আরও পড়ুনঃ  জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সঠিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন দরকার

বিটের রস: শীতকালে নিয়ম করে খান বিটের রস। পটাশিয়ামের প্রাচুর্য ও আয়রনের উপস্থিতির কারণে এই রস রক্ত তৈরিতে যেমন কাজে আসে, তেমনই রক্ত চলাচলেও বিশেষ সাহায্য করে। রক্তবাহী নালির প্রাচীরে চাপ ফেলতে দেয় না।

 

আনন্দবাজার/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন