দুই দশক পূর্বে চালু হয়েছিল নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী। কিন্তু দেয়া হয়নি এখনো গ্যাসের সংযোগ। দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামোগত সমস্যায় ভুুগছে নওগাঁর এই শিল্পনগরী। ব্যবসায় ধারাবাহিক লোকসান দেয়ায় উৎপাদন বন্ধ করেছে বেশকিছু শিল্প ইউনিট। বাজার মন্দা হওয়ায় নিয়মিত উৎপাদনে একটিও নেই। নতুন উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দেয়ার মতো প্লটও নেই। এভাবে প্রায় অচল হয়ে পড়ে আছে নওগাঁ বিসিক।
সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিল্পনগরীর রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরা। ড্রেনেজ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় ভঙ্গুর। তিনটি শিল্প ইউনিটকে রুগ্ণ ঘোষণা করা হলেও কাগজে-কলমে সচল অনেক ইউনিটই ব্যবহৃত হচ্ছে গোডাউন হিসেবে। তাছাড়া প্লট বরাদ্দ নিয়ে দোতলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করেছে বারিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
বিসিকের উদ্যোক্তারা বলছেন, বিসিকে এখনো গ্যাস সরবরাহ লাইন নেই। ফলে কারখানা চালাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে। অনেক উদ্যোক্তা ঋণখেলাপি হয়ে গেছেন। অনেকে শিল্প ইউনিট বন্ধ করে দিচ্ছেন। যেসব কারখানা চালু রয়েছে তাদের অবস্থাও নাজুক।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বগুড়ায় গ্রিডলাইনের গ্যাসে উৎপাদিত পণ্যের সাথে নওগাঁয় কয়লা অথবা বিদ্যুতে উৎপাদিত পণ্য প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এ কারণে এখানে কিছু অটো বয়লার আর একটি লোহার রড তৈরির ছোট কারখানা ব্যতিত কোনো মাঝারি বা ভারী শিল্প গড়ে ওঠেনি।
এ বিষয়ে বিসিক শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামীম হোসেন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার বারীর আবাসিক ভবন সরাতে লিখিতভাবে বলা হয়েছে। এর পরও না সরালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিসিকের বর্তমান অবকাঠামোর বিষয়ে তিনি জানান, ইতিমধ্যে রাস্তা সংস্কারের অনুমোদন হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া নওগাঁ বিসিকের জন্য ১০০ একর জমির প্রস্তাবনা প্রাথমিকভাবে পাঠানো হয়েছে।
বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। এতে আরো অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস