ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হলে নারীর প্রতি অপরাধ কমবে

দেশে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো আছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে নারীর প্রতি অপরাধ আরও কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আইনের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেছেন, নারী এবং দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘১৬ ডেজ অ্যাকটিভিজম- অরেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন প্রথমবারের বাংলাদেশে শুরু করেছে ডিএনসিসি। নারীদের প্রতি সহিংসতারোধে সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এর অংশ হিসেবে দুই দিনে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বাংলাদেশে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী এই কর্মসূচি উদযাপিত হয়ে আসছে। নিরাপদ পরিবেশ এবং নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এমন সচেতনতামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের জন্য সুন্দর নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বিশেষ সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকদের জন্য কাজ করছে ডিএনসিসি। আমাদের এলাকার আওতাধীন সব দোকানে আগামী ছয় মাসের মধ্যে র্যামপ (প্রতিবন্ধীদের ওঠানামার জন্য) লাগাতে হবে, যেন হুইলচেয়ারে করে মানুষজন দোকানে প্রবেশ করতে পারে। নারীদের প্রতি সহিংসতারোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে আজ থেকে অভিযোগ বক্স দিচ্ছি আমরা। মাসে একবার করে সেগুলো খোলা হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। অভিযোগকারী নারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে। এভাবে সবাইকে নিয়েই আমরা আমাদের বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তুলবো।

আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এসডিজি বা সাসটেইনেবল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রয়োজন সাসটেইনেবল পিস। সাসটেইনেবল পিসের জন্য চাই সাসটেইনেবল সিকিউরিটি। সেই সিকিউরিটি নিশ্চিতেই কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। আর নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা আপসহীন।

নারী ও বিশেষসুবিধা বঞ্চিত মানুষদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯৯১ সাল থেকে এই ক্যাম্পেইন পালিত হয়ে আসছে। সেন্টার ফর ওমেন্স গ্লোবাল লিডারশিপ এই কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন