পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনকালে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, এ দেশের একটি ঘরও অন্ধকারে থাকবে না। প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বলবে আলো। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাঁচবে। বিদ্যুতের আলোয় কাজ হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে সৌর বিদ্যুৎ সুবিধার ব্যবস্থা, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি কালিয়াকৈর ও গাজীপুরে নির্মিত ‘ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার’, চট্টগ্রাম ভেটেরনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাই লেকে নির্মিত ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী (রিসার্চ ভেসেল) এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের পাঁচটি নতুন জাহাজের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হয়ে যেত। স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান এবং এর কারণ চিহ্নিত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। রাজনৈতিক সমস্যাকে রাজনৈতিক পথেই সমাধান করেছি। সে সময় ‘শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার এক হাজার ৮০০ অস্ত্রধারী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের আমরা পুনর্বাসন করার সুযোগ দিয়েছি।
বিএনপির আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। আর এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হচ্ছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আনন্দবাজার/এম.কে