দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল রবিবার বিক্রয় চাপে ৬৪ দশমিক ৭১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন ডিএসইর ৬৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সিএসইর ৬৩ দশমিক ৮১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এদিন দুই স্টকের সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের কার্যদিবস থেকে এদিন উভয় স্টকের লেনদেন পরিমাণ কমেছে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রবিবার দুই পুঁজিবাজারে ক্রয়ের চেয়ে বিক্রয় বেশি ছিল। এ কারনে ৬৫ ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়। এদিন দুই-একটি বাদে প্রায় স খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এদিন সেবা আবাসন খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে।
এদিন ব্যাংক, নন ব্যাংকিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, জ্বালানি শক্তি, বীমা, বিবিধ, আইটি, সিমেন্ট এবং ভ্রমণ অবকাশ খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর এদিন পতন হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের ৩২টির মধ্যে ২৩টি, বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে ৪৪টি, নন ব্যাংকিং খাতের ২৩টির মধ্যে ১৮টি, ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ৪২টির মধ্যে ২৮টি, জ্বালানি শক্তি খাতের ২৩টির মধ্যে ১৮টি, বীমা খাতের ৫২টির মধ্যে ৩৯টি, বিবিধ খাতের ১৪টির মধ্যে ৯টি, আইটি খাতের ১১টির মধ্যে ১০টি, সিমেন্ট খাতের ৭টির মধ্যে ৫টি এবং ভ্রমণ অবকাশ খাতের ৪টির মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর এদিন পতন হয়েছে। একই অবস্থা অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও। এদিন লেনদেন, সূচক সহ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। ধারাবাহিক কয়েক কার্যদিবস উত্থান পর গতকাল কোম্পানির শেয়ার দর এধরনের কমাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২৪৮টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩২টির দর।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৩২ দশমিক ৬১ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট ও ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক শুন্য ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৫৭৯ দশমিক ১২ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। এদিন টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লার্ফাজ-হোল্ডসিম, পাওয়ার গ্রিড, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ফারইস্ট ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ারটেক, পেনিনসূলা।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টির কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৯৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৪টি কোম্পানির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৮৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৩১১ দশমিক ৬০ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১৬ দশমিক ৮২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৫৫ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১১২ দশমিক ২০ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫০৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ১৭৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৯৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৫৬ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে। এদিন টাকার অংকে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো, লার্ফাজ-হোল্ডসিম, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, পাওয়ার গ্রিড, রবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সাইফ পাওয়ারটেক, ওয়ান ব্যাংক।
আনন্দবাজার/ টি এস পি