ঢাকা | মঙ্গলবার
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বিনা-১১’ ধানের উৎপাদনে কৃষকের আশার আলো

বাংলাদেশ পরমাণু ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভাবিত বন্যা সহনশীল বিনা ধান-১১ জাতের পরীক্ষামূলক চাষে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। একটানা ২৪ দিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলন কৃষকের মনে জাগিয়েছে নতুন আশার আলো।

বাংলাদেশে উদ্ভাবিত অন্যান্য বন্যা সহনশীল ধানের চেয়ে বিনা-১১ ধান বেশি দিন পানির নিচে ডুবে থাকলেও কোনো রকম ক্ষতি হয় না। ফলে এক মৌসুমে একাধিকবার দীর্ঘ বন্যায় এই ধান চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা করছে কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। আর বন্যাপ্রবণ এলাকা কুড়িগ্রামে নতুন এই জাতের ধান চাষ সম্প্রারণ করে খাদ্যের ঘাটতি পূরণের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

এবছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দুদফা বন্যায় জেলার প্রায় ৪১ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকার কারণে এসব ক্ষেত থেকে ধান ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকরা। এমনকি বন্যা সহনশীল কয়েকটি জাতের ধান চাষেও ক্ষতির সম্মুখীন হন অনেক কৃষক।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা গ্রামে বাংলাদেশ পরমাণু ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট পরীক্ষামূলকভাবে কয়েক একর জমিতে বিনা-১১ জাতের ধান চাষ করে। ফলে বিনা-১১ চাষে পেয়েছে ব্যাপক সাফল্য। চারা রোপণের এক সপ্তাহ পরপরই ডুবে যায় সদ্যরোপিত ধান ক্ষেত। এরপর টানা ২৪ দিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকার পরও কর্তন করে একর প্রতি ফলন এসেছে ৫০ মণ ধাণ।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরিচর্যা করে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত থেকে স্বাভাবিক ফলন পেয়ে অপেক্ষার চেয়েও বেশী খুশি হয়েছেন এলাকার ধাণ চাষীরা। এর ফলস্বরূপ আগামীতে এই ধান চাষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা। ধাণ চাষীদের বিশ্বাস বিনা ধান-১১ জাতের বীজ সরবারহ করে বন্যা মোকবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়াবে আওয়ামিলীগ সরকার।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন