সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকেই নতুন দাম কার্যকর করতে চায় সংগঠনটি। এ প্রস্তাব পাস হলে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়বে ৮ টাকা ও খোলা সয়াবিনে ৯ টাকা এবং খোলা পাম অয়েলে বাড়বে ১০ টাকা। যদিও তবে দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম কমতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে রিফাইনাররা কীভাবে নিজের মতো করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, এখন ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন দিয়ে অ্যানালাইসিস করে দেখব। এ-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। যখন বৈঠক হবে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনে পঠিয়েছেন। সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য হবে লিটারে ১৪৫ টাকা। যার মিল গেট মূল্য ১৪২ টাকা এবং পরিবেশক মূল্য হবে লিটারে ১৪৩ টাকা। একইভাবে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের খুচরা মূল্য পড়বে ১৬৮ টাকা, যার মিল গেট মূল্য হবে ১৫৮ টাকা এবং পরিবেশক মূল্য ১৬২ টাকা। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন বিক্রি হবে ৮০০ টাকায়। মিল গেট মূল্য থাকবে ৭৬০ টাকা এবং পরিবেশক মূল্য হবে ৭৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েলের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৯ টাকা। মিল গেটে যার মূল্য ১২৬ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে মূল্য ১২৭ টাকা ধরা হয়েছে।
এর আগে গত বছর ১৯ অক্টোবর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয় প্রতি লিটারে ৭ টাকা। সরকারি অনুমোদনের পর থেকেই দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৭৬০ টাকায়। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৩৬ টাকা এবং পাম অয়েল ১১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আনন্দবাজার/শহক