বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক নিবে ইতালি সরকার। সম্প্রতি স্পন্সরে শ্রমিক নেওয়ার এ অনুমোদন দেয় ইতালির মন্ত্রিপরিষদ। এসব শ্রমিক বৈধভাবে ইতালিতে এসে দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের ফলে সিজনাল, নন-সিজনাল (মৌসুমি, অ-মৌসুমি) সহ অন্যান্য ভিসায় মোট ৬৯ হাজার ৭০০ শ্রমিক ইতালিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। মৌসুমি-অমৌসুমিসহ অন্য কোটায় বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশের শ্রমিক নেবে ইতালি। এরমধ্য আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, মিশর, এল সালভাদর, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জাপান, গুয়াতেমালা, ভারত, কসোভো, মালি, মরক্কো, মরিশাস, মলদোভা , মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তিউনিসিয়া ও ইউক্রেন রয়েছে।
অন্যদিকে মালামাল পরিবহন, ট্যুরিজম,পর্যটন, হোটেল, নির্মাণ কাজের জন্যও শ্রমিক আসতে পারবে। তবে কবে থেকে আবেদন জমা নিবে তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, খুব শিগগির চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।
ইতালি জাসদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান আনিস বলেন, এবার সিজনাল (কৃষি) ভিসায় বেশি শ্রমিক আনবে। কৃষি প্রধান এ দেশে করোনার কারণে যে টুকু ক্ষতি হয়েছে- তা পুষিয়ে নিতেই শিগগির ৪২ হাজার শ্রমিক আনবে ইতালি সরকার। আর নন সিজনাল ভিসার প্রক্রিয়া অনেকটা জটিল। ১২ বছর আগে এটা অনেকটা উম্মুক্ত ছিলো। গত দুই টার্ম বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে কঠিন করেছে। যদিও উল্লেখিত দেশগুলো থেকে মাত্র ১২ হাজারের কোটা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের কোটা এক হাজারেরও কম হতে পারে।
এ ব্যাপারে রোমের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ল’ চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মার্ক বলেন, ইতালি শ্রমিক আনবে সেটা নিশ্চিত করেছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় শ্রমিক ইতালিতে আসবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেজন্য অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আনন্দবাজার/এম.আর