- এক বছরে ৩০০০ কোটি টাকা
- প্রিমিয়াম আয় কমেছে ০.৫৮ ভাগ
বছরব্যাপী নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর ছয়শ কোটি টাকার ওপরে। যদিও সাধারণ বিমায় প্রিমিয়াম আয় কমেছে দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় বিমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) অংশ নেন।
২০২০ সালে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বেড়েছে ছয়শ কোটি টাকার ওপরে। বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর ২৮ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ থেকে দুই হাজার ২৬৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। বেসরকারি সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ৩ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার বিনিয়োগ থেকে ৬২৭ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
এদিকে, বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানিগুলো প্রিমিয়াম আয় ৯ হাজার ৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা, লাইফ ফান্ড ৩১ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩২ হাজার ৬৭১ কোটি এবং মোট সম্পদ ৩৮ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
বিআইএ’র প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ২০১৯ সালের মোট প্রিমিয়াম আয় ৩ হাজার ৪১১ কোটি টাকা থেকে দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। আর সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক বছরে সম্পদের পরিমান বেড়েছে ৮১১ কোটি টাকা।
এদিকে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্রমতে, প্রতিনিয়তই সেখানে জমা পড়ছে গ্রাহক অভিযোগের ফাইল। যা সমাধান করতে হিমশিম পরিস্থিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। কোম্পানীগুলোর দায়সারা মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়তই এ খাতে বাড়ছে সঙ্কট। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগ বেড়েছে এটা অনেক স্বস্তিদায়ক কিন্তু দায়সারা মনোভাবের কারণে সামনে বড় ধরনের সঙ্কট তৈরি হতে পারে। এ বিষয়ে অবশ্যই আইডিআরএকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যাপ্ত জনবল নেই সংস্থাটির। সমস্যা সমাধানে নানা উদ্যেগ নিলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে দ্রুত জনবল নিয়োগ দেয়া জরুরি বলে মনে করছেন আইডিআরের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্মসচিব) এস এম শাকিল আখতার।
আনন্দবাজার/এম.আর