ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণপরিবহনের জ্বালানি পরিসংখ্যান নেই

গণপরিবহনের জ্বালানি পরিসংখ্যান নেই

সারাদেশে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ২০ ধরনের যানবাহন রয়েছে। নিবন্ধিত গণপরিবহন আছে ৪৯ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৫টি। এসব পরিবহনের কোনটি সিএনজি চালিত আর কোনটি তেলে চলে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে। যে কারণে জ্বালানি পরিকল্পনা প্রণয়ন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত জরিপ করার উদ্যোগ নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ ডিজেল আমদানি করা হয় তার বেশিরভাগই পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে সরকারের যদি জানা না থাকে কোন পরিবহন কী জ্বালানিতে চলছে, তবে জ্বালানি পরিকল্পনা সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। এতে কোনও জ্বালানির আধিক্য সৃষ্টি হতে পারে, আবার সংকটও হতে পারে। ফলে জ্বালানি ব্যবহারের ভিত্তিতে পরিবহনের জরিপ জরুরি। কতটি গণপরিবহন সিএনজিতে চলে, কতটি ডিজেলে চলে বা অন্যান্য যানবাহন কতটি পেট্রোলে, অকটেনে চলে তার সঠিক একটি পরিসংখ্যান থাকা উচিত।

সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এ সংক্রান্ত জরিপ করার প্রস্তাব দেন। বৈঠকে জ্বালানি সচিব মো. আনিছুর রহমান একটি প্রতিবেদন দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে গত নভেম্বরে গণপরিবহনে কোন জ্বালানি কী পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে তা জানতে চেয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। জ্বালানি ব্যবহারের প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত জানার জন্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে একটি জরিপও করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, পেট্রোল ও অকটেনচালিত কিছু গাড়ি জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা ভেবে অটোগ্যাসে রূপান্তর করছে। আবার সিএনজি চালিত গাড়িও অটোগ্যাসে রূপান্তর করা হচ্ছে। সারাদেশে ব্যাপকভাবে সরকার অটোগ্যাসের সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করছে। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে অটোগ্যাস স্টেশন নির্মাণ করছে। ফলে জ্বালানি ব্যবহারের ধরনে পরিবর্তন আসছে।

বিআরটিএ সূত্র বলছে, ১০ বছরে দেশে নিবন্ধিত যান বেড়েছে ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৬৭টি। এ তালিকায় মোটরসাইকেল থেকে ট্রাক্টর সবই রয়েছে। তবে এসবের মধ্যে বিদ্যুৎচালিত কোনও পরিবহন নেই। কার্বন নিঃসরণ কমাতে সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের ওপর জোর দিলেও দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের অবকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। আগামীতে এই খাত বিকশিত হলে যানবাহনে জ্বালানির ব্যবহারেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তরল জ্বালানিতে এক কিলোমিটার যাতায়াতে খরচ হয় ৯-১০ টাকা। বৈদ্যুতিক গাড়িতে খরচ পড়বে ৫০ পয়সা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন