শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়পুকুরিয়ায় কয়লাখনিতে মজুদ বেড়েছে

  • তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুখবর
  • এক লাখের জায়গায় চার লাখ টন

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে আরও এক লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে বলে জ্বালানি বিভাগকে জানিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ। এটি দেশের জন্য বড় ধরেনের সুখবর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগে ১৩১০ ফেইসে তিন লাখ টন কয়লা ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে এখানে চার লাখ টন কয়লা রয়েছে।

খনি কর্তৃক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, চীনারা (সিএমসি) এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছে যে, এ ফেইসে আরও ১ লাখ টন অর্থাৎ মোট ৪ লাখ মেট্রিক টন কয়লার মজুত রয়েছে। এর আগের আদেশে ৫০ হাজার টনের সঙ্গে আরও এক লাখ টন অর্থাৎ দেড় লাখ টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং সে অনুযায়ী চীনা কোম্পানি সিএমসি কয়লা তোলা অব্যাহত রেখেছে।

বর্তমানে ১২৬ জন স্থানীয় শ্রমিক এ কাজে নিয়োজিত আছে এবং দুই শিফটে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। গড়ে দৈনিক আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টন কয়লা তোলা হচ্ছে। দেশের একমাত্র কয়লাখনিটির ওপর ভিত্তি করেই বড়পুকুরিয়ায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে কয়লার যে চাহিদা সেটার এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করতে পারে খনিটি। ভবিষ্যতে খনিটির সরবরাহ খুব একটা বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে না। জ্বালানি বিভাগের আপত্তির মধ্যেও কয়লা সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে এখানে বিনিয়োগ করেছে পিডিবি। এখন কেন্দ্রের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎও গ্রিডে আসে না।

আরও পড়ুনঃ  পচা পেঁয়াজ নিয়ে চরম বিপাকে ভোমরার আমদানিকারকরা

জ্বালানি বিভাগ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, কেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এখানকার কয়লা শেষ হয়ে যাবে। ফলে কেন্দ্রটি অচল হয়ে পড়বে। প্রায় আড়াই বছর ধরেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে। পিডিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, যখন বড়পুকুরিয়াতে নতুন কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন মনে করা হয়েছিল সরকার বড়পুকুরিয়া ছাড়াও আশপাশের খনিগুলোর উন্নয়ন করবে। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদলের ফলে এই বিনিয়োগ কাজে আসছে না।

সম্প্রতি জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ কয়লার ব্যবহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কয়লাচালিত কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার ঘোষণাও দেন। এতে করে এখন মজুত বাড়লে বড়পুকরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র আরও কিছুদিন উৎপাদন করতে পারবে। এর বাইরে ওই কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি করা হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে এক কর্মকর্তা বলেন, এত দূরের কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি করা কঠিন। এতে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবে। তাই বাড়তি কয়লা প্রাপ্তির খবর বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রের জন্য সুখবর।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন