শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে দেড় শতাধিক সেবা দেবে বিডা

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাজ সহজ করতে অনলাইনে ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালের মাধ্যমে দেড় শতাধিক সেবা দেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

গতকাল রবিবার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওস্থ বিডা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিডার সঙ্গে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান/সংস্থার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংস্থাটির সহকারি পরিচালক আবু জার গিফারী তমালের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডার নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী। হালনাগাদ চিত্র তুলে ধরেন বিডার পরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায়। বক্তব্য রাখেন আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের পিএএ শেখ রফিকুল ইসলাম, বিজনেস অটোমেশন লি. এর পরিচালক মো. বজলুল হক বিশ্বাস, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশনের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট মিয়া রহমত আলী প্রমুখ।

বিডার চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে বিডার ১৮টি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৩৮টি সেবাসহ সর্বমোট ৫৬টি সেবা অনলাইন ওএসএস এর মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেড় শতাধিক সেবা ওএসএসের মাধ্যমে দেয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

গতকাল অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টালের মাধ্যমে বিডার ১টি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১টি, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের ১টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১টি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১টিসহ মোট ৫টি সেবা যুক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন ২০১৮ এর অধীনে ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসআরও নং ১০৭ আইন অনুযায়ী ২০২০ সালে অনুমোদিত হয় ওএসএস। সে বছরের ১০ এপ্রিলে তা গেজেটাকারে প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  পিপিই রপ্তানি শুরু করলো বাংলাদেশ

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সকল ধরনের সেবা অনলাইনে দিতে ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিজনেস অটোমেশন লি. এর সঙ্গে চুক্তি করে বিডা। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়।
গতকাল যুক্ত হওয়া সেবার মধ্যে বিডার ১টি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১টি, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের ১টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১টি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১টিসহ ৫টি নতুন সেবা।

মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, তাদের সঙ্গে যুক্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটি কাজে গাফেলতি দেখাচ্ছে। এতে করে গ্রাহকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে অচিরেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে দ্রুতই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তাই দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টর উভয়েরই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। সহজে স্বল্প খরচে দ্রুত বিনিয়োগ সেবা নেওয়ার জন্য এক (সিংগেল) প্লটাফর্ম ব্যবহার করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন