শীতের ঠাণ্ডার এই ঋতুতে আমরা বিভিন্ন ধরনের অসুখের আশঙ্কায় থাকি। সেজন্য এসময় স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরী। এ সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসীর চা পান করা যেতে পারে। শরীর সুস্থ রাখতে সহায়ক তুলসী। চলুন জেনে নিই প্রতিদিন তুলসীর চা পানের উপকার সম্পর্কে-
খালি পেটে তুলসির উপকার
সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলসীর চা পানের উপকারিতা অনেক। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়েও খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে দুধ চায়ের পরিবর্তে তুলসীর চা পান করলে শরীর বেশি মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পায়। যা শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। যা শরীরে ফোলাভাবও কমায় এবং শরীরকে সতেজ রাখে।
কীভাবে বানাবেন তুলসী চা-
তুলসির চা তৈরি করার সময় মনে রাখতে হবে এতে চিনি দেওয়া চলবে না। চিনি দিলে চায়ের উপকারিতা কমে যায়। প্রথমে দেড় কাপ পানিতে ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ফেলে দিন। এরপর এতে আদা ও এলাচের পাউডার দিতে পারেন। এরপর এটি ১৫ মিনিট ফুটিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। তারপর মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে।
ঠাণ্ডার সময়ে তুসলীর চা পান করলে কফ, কাশি, সর্দি, অ্যাজমার মতো সমস্যা কম হয়। এই চা শরীরে কর্টিসেন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে উত্তেজনা, বিরক্তি ও অবসাদের মতো সমস্যা দূরে রাখতে সহায়ক।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক তুলসীর চা। এতে পাওয়া যায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। যা দাঁতে আটকে থাকা জীবাণু দূর করে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এছাড়া শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে তুলসী পাতার চা। সেজন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন তুলসি পাতার চা খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি