গান গেয়ে লাখো মানুষের মন জয় করা সংগীতশিল্পী শারমীন আক্তার এখন মুত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। মেয়েকে বাঁচাতে বাবা-মা দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
একটি রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমে নজরে আসেন শারমীন। এরপর কণ্ঠের যাদুতে ধীরে ধীরে দেশ ও দেশের বাইরের লাখো দর্শকের ভালোবাসা পান তিনি।
এখন তার কেবল সরব থাকার কথা ছিল, কণ্ঠের যাদুতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে নিজেকে ছাপিয়ে যাবার কথা ছিল। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মেয়েটি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ৭ম তলায় ১৬ নং ওয়ার্ডের বিছানায় শুয়ে করুণ সময় কাটছে তার।
থাইরয়েড সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও এখন শরীরের রক্ত সঞ্চালন ১০ ভাগে নেমে এসেছে। এই মুহূর্তে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে শারমীন। একদিকে জীবননাশের শঙ্কা অন্যদিকে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানোও সম্ভব হচ্ছে না তার। মেয়ে বাঁচবে কি বাঁচবে না সেই উৎকণ্ঠায় মায়ের চোখেও।
তিনি বলেন, আমার মেয়েটাকে বাঁচান। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমার মেয়ে যেন আগের মতো ভালো হয়ে যায়।
বাবা হুমায়ুন কবিরও বাউলশিল্পী। মেয়েকে বাঁচাতে নিরূপায় এক অসহায় বাবা তাকিয়ে সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্যের অপেক্ষায়।
হুমায়ুন কবির বলেন, একশোর মধ্যে ৫ শতাংশ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখছেন ডাক্তাররা। তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী মেয়েকে বাঁচিয়ে তোলার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। জানালেন, শারমীন গান গেয়ে যে অর্থ পান তা দিয়েই চলতো তাদের সংসার।
দেশের বিত্ত ও সুহৃয়বান ব্যক্তিরা তাদের পাশে দাঁড়ালে হয়তো শারমীন সুস্থ হয়ে উঠবে, আবারও কণ্ঠ ছেড়ে গান গাইবে। সবাই এই দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা হুমায়ুন কবিরের।
ফোন ও বিকাশ নম্বর: ০১৭১২১৮৪৮৮৬
আনন্দবাজার/ টি এস পি