বিশ্বব্যাপী এফ-কমার্সের বাজার দ্রুত বড় হচ্ছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশেও সম্প্রসারিত হচ্ছে এর বাজার। তবে এখাতে কিছু সমস্যা বিরাজমান। খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। দেশের এফ-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে আনন্দবাজারকে এসব কথা বলেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, দেশের তরুণরা এফ-কমার্সে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ব্যবসার এ নতুন ধরনটি তাদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আমি মনে করি বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে যে কোনো ব্যবসায়ে একটি নীতিমালা বা আইনি কাঠামো প্রয়োজন হয়। না হলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এফ-কমার্সকে নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে সরকার এ খাত থেকে বড় অংকের রাজস্ব পাবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আর এ খাতের বিস্তারের মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
জসিম উদ্দিন আরো বলেন, করোনার কারণে মানুষের অনেক কিছু পাল্টে গেছে। অনলাইনের ব্যবসায়ে মানুষ বাধ্য হয়ে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। হাতে হাতে তাদের মোবাইল ফোন। শহর ছাড়িয়ে উপজেলাতেও সাধারণ মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। একদিকে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে অনলাইনে নির্ভরতাও বাড়ছে।
এফ-কমার্স ব্যবসায়ে নেতিবাচক দিক সম্পর্কে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে ব্যবসায়ীদের এ শীর্ষ নেতা বলেন, এরই মধ্যে এ ব্যবসার মাধ্যমে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেছে। এবিষয়ে সরকারকে নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ব্যবসায় আমদানিতে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, এফ-কমার্সের ব্যবসা বিস্তারে রাজস্ব সুবিধা একান্ত প্রয়োজন।
আনন্দবাজার/শহক