ঝিনাইদহে গেল কয়েকদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শেষে প্রকৃতিতে বইছে হিমেল হাওয়া। শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও গেল রাত থেকে বেড়েছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় সকালের দিকে সড়ক-মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ধানের পাতায় জমেছে শিশির বিন্দু। তবে সকালে জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হওয়া মানুষগুলো পড়েন কিছুটা দুর্ভোগে। বুধবার সকালে জেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শহরের বাইপাস এলাকার বৃদ্ধ মাহাফুজ মিয়া বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর শীত একটু বেশি। একই সঙ্গে কুয়াশাও অনেক বেশি পড়ছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে তীব্র শীত পড়বে মনে হচ্ছে।
ইজিবাইক চালক শাহারিয়ার বলেন, বৃষ্টির পর হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশায় চারপাশে অন্ধকার নেমে আসে। রাস্তায় গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। শীতরে শুরুতে এমন অবস্থা, সামনের দিনগুলোতে কী হবে ভাবতে পারছি না।
ঝিনাইদহের আরাপপুর থেকে কথা হয় বাস চালক মিজানুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি। কিন্তু যে কুয়াশা, গাড়ি চালাবো কীভাবে এটাই ভাবছি। কুয়াশায় গাড়ি জোরে চালানো যায় না, এতে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।
আনন্দবাজার/শহক