ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দশ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি হচ্ছে মেটাভার্স

দশ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি হচ্ছে মেটাভার্স

মেটাভার্স মানে ভার্চুয়াল একটা জগৎ, যেখানে মানুষ কম্পিউটার টেকনোলজির সাহায্যে একজন আরেকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ১৯৯২ সালে কল্পবিজ্ঞানের লেখক নীল স্টিফেনসন প্রথম ‘মেটাভার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেন ‘স্নো ক্র্যাশ’ উপন্যাসে।

যেখানে তিনি কল্পনা করেন প্রায় মানুষের মতো বিভিন্ন জীবদেহের প্রাণী থ্রিডি বহুতলে দেখা করছে। এখনকার মেটাভার্স ঠিক তেমনই একটি ভার্চুয়াল দুনিয়া। যেখানে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, হলোগ্রামের থ্রিডি, ভিডিও এবং সংযোগের আরও নানা দিক একসঙ্গে মিশবে।

ফোর্টনাইট, মাইনক্র্যাফ্ট এবং রোবলক্সের মতো কিছু ভিডিও গেমে অনেক আগে থেকেই এই ধরনের মেটাভার্স ছিল। এই ভিডিও গেমের সঙ্গে যে সংস্থাগুলো যুক্ত, তারা অনেক দিন থেকেই মেটাভার্সের বিবর্তনের জন্য লড়ে এসেছে।

মেটভার্স কী
প্রযুক্তির নানা দিকে মিশছে এই মেটাভার্সে। এখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বিভিন্ন সদস্য ‘বসবাস করবে’। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভিডিওসহ সবকিছু থাকবে একসঙ্গে।

যারা মেটাভার্সে থাকবেন, তারা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে সারা দুনিয়াজুড়ে ভার্চুয়াল ভ্রমণে যেতে পারেন, কনসার্টে যেতে পারেন, যোগাযোগ রাখতে পারেন এবং আরও নানা রকম অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখতে পারেন।

মেটভার্স কবে আসবে
জুকারবার্গ অনেক ভিশনারি মানুষ। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, আমাদেরকে দেখে একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কোম্পানি মনে হলেও আমাদের ডিএনএতে আসলে মানুষে মানুষে সংযোগ করে দেওয়ার নেশা। মেটাভার্স শব্দটা এখন নতুন মনে হচ্ছে, এটাই হবে ভবিষ্যতের মানুষে মানুষে সংযোগ তৈরি করার রাস্তা।

যখন আমরা ফেসবুক শুরু করি, সোস্যাল নেটওয়ার্কিংটাও কিন্তু নতুন একটা শব্দ ছিল। এই মেটাভার্স শব্দটাকে মানুষের ব্রেনে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ থেকে দশ বছর লাগবে বলে ধারণা করছেন জুকারবার্গ। আর এই কাজ করতে দশ বিলিয়ন ডলার খরচ করে চাহিদামতো টেকনোলজি বানানোর প্ল্যান অলরেডি উনাদের আছে।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন