ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে হতাশায় পড়েছেন সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। ডিজেলের দাম বাড়ায় বাড়বে উৎপাদন খরচ। কারন জমিতে সেচ দেওয়া, ধান কাটা ও মাড়াই যন্ত্র সবই চলে ডিজেল দিয়ে। কিন্তু বাড়তি খরচে উৎপাদন করার পর কৃষিপন্যের ন্যায্য দাম মিলবে কি না, সেই আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের এখন চলছে বোরোর বীজতলা তৈরির কাজ। কৃষিকাজ এখন যান্ত্রিককতা নির্ভর, ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ, জমিতে সেচ দেওয়া, ধান কাটা ও মাড়াই যন্ত্র সবই চলে ডিজেল আর কেরোসিন দিয়ে।
পলিতে বেশিরভাগ এলাকা ভরাট হওয়ায় এখন যান্ত্রিক সেচযন্ত্র ছাড়া উপায় নেই। এই সময়ে ডিজেল কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কৃষকরা।
তাই, কৃষকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করতে ডিজেলের মূল্য কমানোর দাবি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ কৃষি ও কৃষক রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু।
তবে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে না বলে দাবি করলেন সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ফরিদুল হাসান।
আগামী মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলায় দুই লাখ ২২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে নয় লাখ এক হাজার ৪৮০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/শহক