দেশে তৈরি মোবাইল ফোন বিদেশে রফতানি হচ্ছে। দুটি দেশীয় মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে মোবাইল ফোন রফতানি শুরু করেছে।
তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, দুবাই ও নেপালের নাম। তবে দেশীয় মোবাইল উৎপাদকদের পছন্দের বাজার আফ্রিকা। আফ্রিকার কয়েকটি মার্কেটে ঢোকার জন্য এরইমধ্যে উৎপাদকরা পরিকল্পনা নিচ্ছে।
তাছাড়া সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছে, দেশীয় কারখানায় তৈরি মোবাইল বিদেশে রফতানি হলে উৎপাদকরা ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। এ ছাড়া মোবাইল কারখানা যে এলাকায় অবস্থিত সেখানে হাইটেক জোন ঘোষণা করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস: বাতিল হতে পারে পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদক হয়েছিলাম। এখন রফতানিকারকও হয়েছি। চিরকাল আমদানিককারক থাকবো না এমন স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্ন বাস্তায়ন হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনই নয়—ফ্রিজ, টিভি, ল্যাপটপসহ আরও অনেক ডিজিটাল ডিভাইস বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে দেশের মোট চাহিদার ৭০-৮০ শতাংশ মোবাইল ফোন দেশের কারখানাগুলোতেই তৈরি হয়। আমদানি হয় ২০ শতাংশের মতো। সিম্ফনি মোবাইলও বিদেশে মোবাইল ফোন রফতানি শুরু করেছে। নেপালে মোবাইল ফোন রফতানির মাধ্যমে তাদের বিদেশে যাত্রা শুরু।
সিম্ফনি মোবাইল ফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহিদ বলেন, নেপালে প্রথম চালান পাঠানোর মাধ্যমে আমাদের মোবাইল ফোন রফতানি শুরু। এ নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে। আগামীতে শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম ও আফ্রিকার ২-৩টি বাজারে রফতানির প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, দেশে মোবাইল কারখানা স্থাপনের জন্য লাইসেন্স পেয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৯-১০ প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু করেছে। সর্বশেষ মোবাইল উৎপাদন শুরু করেছে শাওমি। দেশে স্যামসাং, সিম্ফনি, ওয়ালটন, ভিভো, অপো, রিয়েলমি, টেকনো, আইটেল, ইনফিনিক্স, ফাইভস্টার, নকিয়া মোবাইল তৈরি হচ্ছে।
বাজার/এম.আর