মহামারির কারণে পুরো এভিয়েশন খাতই যখন বিপর্যস্ত তখনই বাড়ানো হলো জেট ফুয়েলের দাম। লিটারে বেড়েছে ৭ টাকা এবং এক বছরের ৬৭ শতাংশ। মে মাসে এক টাকা কমে প্রতি লিটার জেট ফুয়েল সরবরাহ করা হয়েছে ৬০ টাকায়। জুনে আবারও দাম বেড়ে হয় ৬৩ টাকা, জুলাই মাসে ৬৬ টাকা, আগস্ট মাসে ৬৭ টাকা এবং অক্টোবরে দাম হয় ৭০ টাকা। নভেম্বর মাস থেকে প্রতি লিটার জেট ফুয়েল ৭৭ টাকায় সরবরাহ করছে এয়ারলাইনসগুলো।
তাছাড়া গত বছরের অক্টোবরেও প্রতি লিটার জেট ফুয়েল পাওয়া যেতো ৪৬ টাকায়। সবশেষ চলতি মাসে এই জ্বালানির দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি লিটার ৭৭ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি লিটারে দাম বেড়েছে ৩১ টাকা বা ৬৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ‘করোনার ক্যাপসুল’ সেবন না করার পরামর্শ
এয়ারলাইনসগুলো বলছে, এভাবে ঘন ঘন জেট ফুয়েলের দাম বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পুরো এভিয়েশন খাত। এতে বাজার বিদেশি এয়ারলাইনসের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘যে কোনো রুটের অপারেটিং কস্টের ৪০ ভাগই হচ্ছে ফুয়েল কস্ট। এটা যদি গত এক বছরে ৬৭ শতাংশেরও বেশি বেড়ে থাকে তাহলে এটা সমন্বয় করতে হবে ভাড়া থেকেই। এতে যাত্রীদের উপর সরাসরি একটি প্রভাব পড়ে। যাত্রী প্রবৃদ্ধির ওপরও প্রভাব পড়বে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, ‘মহামারির কারণে পুরো এভিয়েশন খাতই কিন্তু বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। যেখানে এই খাত সরকারের বেশি সহযোগিতা আশা করে সেখানে এভাবে বারবার জ্বালানির (জেট ফুয়েল) দাম বাড়লে এটা সমন্বয় করতে গিয়ে এয়ারলাইনসগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। শেষ পর্যন্ত তো এই খরচের বোঝা চাপবে জনগণের ওপরেই। যাত্রীরাই এতে হবে ক্ষতিগ্রস্থ।’
বাজার/এম.আর