ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ছয় বছর পরেও তৈরী হয়নি শহীদ মিনার

পটুয়াখালীর সর্বপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়।মহান ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পেরিয়ে গেলেও শতাব্দীর ইতিহাস বিজড়িত এই বিদ্যালয়ে এখনো তৈরী হয়নি শহীদ মিনার।

২০১৫ সালের ১৩ আগষ্ট পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আলহাজ্ব খান মোশারফ হোসেন।

কিন্তু ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তৈরী হয়নি শহীদ মিনার।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমিন বলেন,এতদিন টেন্ডার বরাদ্দ না থাকায় আমরা শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। এখন আমাদের টেন্ডার হয়ে গেছে খুব দ্রুতই আমরা কাজ শুরু করবো।

এছাড়াও পটুয়াখালীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এসব শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই শ্রদ্ধা জানায়।আবার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পটুয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায়।

এছাড়া জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে মোট ১২২৭টি। এর মধ্যে প্রায় ৯৫৩টি বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার । এছাড়াও জেলায় মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রায় ২৯৯টি যার অধিকাংশতেই নেই শহীদ মিনার।

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বাস জানায়, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবহী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানে কোনো শহীদ মিনার নেই। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাই।আমাদের স্কুলে একটি শহীদ মিনার থাকা খুব জরুরী।অতি দ্রুত যাতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় এটাই আমাদের দাবী।

একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সানাউল্লাহ বাপ্পী জানান, পটুয়াখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। এটি দুঃখের ব্যাপার। শহীদ মিনার স্থাপন হলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ইতিহাসকে দেখতে পারে, জানতে পারে।আমাদের টেন্ডার বরাদ্দ হয়ে গেছে,খুব দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন