ঢাকার বাতাসে ধূলিকণার সাথে মিশে যাচ্ছে ব্যাকটেরিয়া। যা বায়ুদূষণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গবেষকরা বলছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে বাতাসে উড়ছে ক্ষতিকর ৭ ধরনের ব্যাকটেরিয়া। এগুলো মানব দেহের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। করোনা মহামারির সময়েও বর্ষাকালে কমেনি বায়ুদূষণ। গবেষকরা আরো বলছেন, ১৭ বছরে সারা দেশেই বাতাসের মান ক্রমেই অবনতি হচ্ছে।
বর্ষায় রাজধানীর বাতাস থাকে সবচেয়ে নির্মল। জুন থেকে আগস্ট তিনমাস নিয়মিত বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় ধুলিকণা। সতেজ থাকে চারপাশ। তবে, এই বর্ষায় রাজধানীর বর্জ্য থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাকটেরিয়া। পানির পাশাপাশি বাতাসেও মিশছে ব্যাকটেরিয়া।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ গবেষকরা জানান, রাজধানীর যেসব এলাকায় দীর্ঘদিন আবর্জনা স্তুপ করে রাখা হয় সেখানেই ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বেশি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের গবেষণা বলছে, ১৭ বছরে রাজধানী ছাড়াও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা বিভাগে বাতাসে দূষণ বেড়েছে। বছরের নয় মাস মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে পার্টিকুলেটেড ম্যাটার বা পিএম ২ দশমিক ৫ এবং ১০ মাইক্রো গ্রাম পাওয়া যাচ্ছে। অপরিকল্পিত সংস্কার কাজের কারণে বাতাসে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া।
গবেষকরা আরো বলছেন, শুধু করোনা সংক্রমণের জন্য নয় বাতাস দূষণ থেকে বাঁচতেও মুখে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরী।
আনন্দবাজার/শহক