ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র রক্ষা, কৃষি ফসলি জমিতে সেচসুবিদা নিশ্চিত ও বর্ষার পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা দূঢ় করতে মানব বন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বেদখল হওয়া ভালুকার ধোপাজান খালসহ প্রায় ৩০টি সরকারী খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ভালুকা আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
শুক্রবার (১৩ আগষ্ট) সকাল ১১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বাপা ভালুকা আঞ্চলিক শাখার আহবায়ক এড. শাহ মোহাম্মদ আশরাফুল হক জর্জ এর সভাপতিত্বে ও বাপা ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্য সচিব সাংবাদিক কামরুল হাসান পাঠান কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাক্তব্য রাখেন, ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, এ্যাপোলো ইনিষ্টিটিউট ইন কম্পিউটার কলেজের অধ্যক্ষ এ আর সামসুর রহমান লিটন, ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বাদশা,অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন, মাহমুদা সুলতানা মুন্নী, হাজ্বী এস এম নূরুল ইসলাম, এডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশ, এডভোকেট শহিদুল ইসলাম,সাংবাদিক খলিলুর রহমান প্রমুখ।
বক্তাগণ ধোপাজান খাল নিয়ে বিরোধে একজন শিল্পপতির পা হারানোর ঘটনায় নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার পূণরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রশাসনকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
বক্তাগণ আরও বলেন, জনস্বার্থে সরকারী ধোপাজান খাল, ধোপাজান, আজিমতলা খাল, বাঘ সাঁতরা, খাল হাবনিয়া, ভালুকজানি, শিমুলিয়া নদী, মরা নদী, বেইত্যাসাঙ্গুন লাউতি, বিলাইজুড়ি খালসহ প্রায় ৩০টি সরকারি খাল গুলিকে অবিলম্বে অবৈধ দখল মুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবী করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার কাঠালী মৌজার ২৬৭ নং দাগের সরকারী ধোপাজান খালটি অবৈধ ভাবে দখল করে রাখেন জসিম পাঠান গংরা। ধোপাজান খাল নিয়ে সৃষ্ট বিবাদে জসিম পাঠান গংদের দায়ের কুপে দুটি পা হারান আর্টি কম্পোজিট মিলের এমডি শিল্পপতি আব্দুর রাজ্জাক।
আনন্দবাজার/শহক