নতুন অর্থবছরের ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে ৩৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বেশি। যেখানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য খাত, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা।
আগামী বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা হবে।
জানা গেছে, করোনা মহামারির কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের ওপর কর আরোপ করা হচ্ছে না। এর ফলে চাল, ডাল, চিনি, লবণ, দেশে উৎপাদিত টুথপেস্ট, পাউরুটি, সাবান, বোতলজাত পানি, ফলের জুস, মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না।
দেশে উৎপাদিত এবং বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ পণ্যের দাম নাগালে রাখতে দেশি শিল্পে ব্যাপক হারে রাজস্ব ছাড় দেয়া হচ্ছে। এ কারণে আমদানি করা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেলের চেয়ে দেশে সংযোজিত মোটরসাইকেল কম দামে পাওয়া যাবে।
সব ধরনের প্রসাধন সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। সিগারেটের চারটি স্তরের মধ্যে তিনটি স্তরের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, একটি স্তরের দাম অপরিবর্তিত থাকছে। এর ফলে বেশিরভাগ সিগারেটের দাম বাড়বে।
এছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন ও ফিল্টারযুক্ত বিড়ির সব স্তরের দাম বাড়ানো হয়েছে। এদিকে চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কার ও এসইউভির নিবন্ধন খরচও বাড়ছে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ সার্ভিসের মূসক।
করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের কোভিড সুরক্ষা পণ্যে ভ্যাট, ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিটের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসা এবং পিপিই ও সব ধরনের মাস্ক উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে কমছে এসব পণ্যের দাম।
কর অব্যাহতি-রেয়াতি সুবিধা প্রদান করায় এবং আমদানি করা সমজাতীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ করায় বিদেশি খেলনার দাম বাড়লেও কমবে দেশি খেলনার দাম।
কম্পিউটারসহ কিছু পণ্যের দেশীয় উৎপাদন উৎসাহিত করতে সেসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। এ কারণে এ পণ্যের দাম বাড়ছে।
মোবাইল সিম ব্যবহারের করে সেবা গ্রহণের বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, বার্তা পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচ বেড়ে যাবে। অন্যদিকে শুল্ক ছাড় দেয়ায় পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, রোটারি টিলারের মতো কৃষিযন্ত্রের দাম কমে যাবে।