আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নওগাঁয় আমনের ফলন ভালো হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা-মাড়াই। সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত চাষিরা। এদিকে সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে আগাম ধান কেনার ঘোষণা দিলেও বাজারে দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা।
বাজারে কৃষি উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় খরচ কিছুটা বেশি পড়েছে। উপকরণের দাম কম হলে উৎপাদনেও খরচ কমবে। ধানের ন্যায্য দাম পেলে খরচ মিটিয়ে লাভবান হবেন বলে জানান চাষিরা।
গত বছরের ন্যায় এ বছরও ফলন ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি প্রায় ১৮-২২ মণ হারে ফলন হচ্ছে। তবে ফলন ভালো হলেও চাষিরা বাজারে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে সার, ওষুধ ও কাটা-মাড়াই করে ধান ঘরে তুলতে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা খরচ হয়। এবছর বিঘাপ্রতি প্রায় ১৮-২২ মণ হারে ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন ধান ৫৫০-৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম ৮০০ টাকা মণের নিচে হলে তেমন কিছুই থাকবে না।
কৃষক সাইদুর রহমান ও উৎপল কুমার জানান, প্রথমে কারেন্ট পোকার আক্রমণ হলেও কীটনাশক প্রয়োগে রক্ষা পাওয়া গেছে। তবে উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে আগাম ধান কেনার ঘোষণায় তারা খুশি। তবে খোলা বাজারে দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি রোপা-আমন মৌসুমে জেলায় প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছিল। সেখানে প্রতি হেক্টরে ৩ মেট্রিন টন হিসেবে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হবে।’
আনন্দবাজার/ইউএসএস