করোনার ভয়াবহতা বাড়ায় এবারও সংক্রমণ এড়াতে সারাদেশে খোলা স্থানে ঈদের নামাজ না পড়ার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাই ঈদ জামাত হচ্ছে না কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া আর দিনাজপুরের গোর এ শহীদ ময়দানে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের নামাজ।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠের ঈদ জামাতে অংশ নেয়ার জন্য বছরজুড়ে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেন অনেকেই। ঐতিহ্যবাহী এই ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন কয়েক লাখ মুসল্লি। তবে করোনার ভয়বহতায় গত বছর এই মাঠে জামাতের আয়োজন হয়নি, এবারেও হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় শোলাকিয়ায় ১শ’ ৯৪তম ঈদের জামাত হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে জেলার সব মসজিদে ঈদ জামাত হবে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন,’দেশের বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে করানো পরিস্থিতির কারণে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ পারভেজ মিয়া জানান,’স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও পাগলা মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।’
এদিকে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানেও এবার ঈদের জামাত হচ্ছেনা। করোনার কারণে গতবছরও এ মাঠে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাত হয়নি।
দেশ করোনা মুক্ত হলে ঐতিহাসিক এই ময়দানে ইদ জামাতে অংশ নিতে আবারো জড়ো হবেন লাখো মুসল্লী- এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ ইকবালুর রহিমের।
জাতীয় সংসদ হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন,’ঈদুর ফিতরের নামাজ মসজিদে আদায় করে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে মোনাজাত করবো আগামীতে যেন ঈদের নামাজ ঈদগাহ মাঠে পড়তে পারি।’
২৩ একর জায়গার এই ঈদগাঁহে একসঙ্গে ১০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আনন্দবাজার/শহক