ঢাকা | সোমবার
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পাহাড়

সরকারি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। এতে অর্থ মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।

জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণে এখনো শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু এ ব্যাংকটি নির্ধারিত সময়ে খেলাপি ঋণ আদায়ে অন্য সব ব্যাংকের চেয়ে তুলনামূলক ভালো করেছে। সরকারি ৬ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির পাশাপাশি গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে চারটি ব্যাংক। সেগুলো হল সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ।

গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর চলতি অর্থবছরের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ব্যাংকগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সার্বিকভাবে এসব সূচকে ব্যাংকগুলোর পারফরম্যান্স ‘সন্তোষজনক নয়’। ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দেয়া হয়েছে বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যেন তারা খেলাপি ঋণ আদায় করতে সক্ষম হয়।

এই ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ত্রৈমাসিক হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার ২৫ ভাগ খেলাপি ঋণ আদায়ের কথা ছিল। কিন্তু একমাত্র জনতা ব্যাংক তা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।।

উল্লেখ্য, ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে চলতি অর্থবছরে ৩ হাজার ১০৭ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে আদায়ের এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর ব্যর্থতার কারণে এবার খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে যে মোট ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে তার মধ্যে শ্রেণিকৃত ঋণ থেকে ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা এবং অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ থেকে ৪০২ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।

ব্যাংকগুলোর সাথে পৃথকভাবে সম্পাদিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’র আওতায় এ পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন