ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন রোজার বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা

রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলমানরা রোজা রাখেন। অনেকেরই ধারণা সারাদিন না খেয়ে রোজা থাকার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তবে এই ধারণা মোটেও সঠিক নয়। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মতে, মানুষের অজান্তেই রোজা রাখার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের উন্নতি হয়। রোজা রাখা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও উপকারী।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. শেলটন জানান, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করাজাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর পুষ্টি বিধান হয়। এই পদ্ধতিকে ‘অ্যাস্টোলিসিস’ বলা হয়।

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি জানান, রোজা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোজা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।

স্বাস্থ্য গবেষকরা জানান, সারা বছর অতিভোজ, অখাদ্য, ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যে জৈব বিষ জমা হয় তা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক মাস রোজা পালনের ফলে তা সহজেই দূরীভূত হয়ে যায়।

তবে রোজা রাখার কারণে যদি কোনো রোগ বৃদ্ধি পায় বা রোগী বেশ কষ্ট পায় তবে এ বিষয়ে মুফতিদের সাথে আলোচনা করে নেয়াই ভালো। রোগীদের সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোজা না রাখার অনুমতি ইসলামে রয়েছে।

চলুন জেনে নেই রোজা রাখার ফলে আমাদের আরও যেসব বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে সেগুলো সম্পর্কে :

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য রোজা খুবই উপকারী। বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে হাইপো গস্নাইসেমিয়া হয়ে না যায়। যারা দুই বেলা ইনসুলিন নিচ্ছেন তাদের জন্য তো কথাই নেই বরং যারা দু’বেলার অধিক ইনসুলিন নেয়, তাদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ডোজ অ্যাডজাস্ট করে রোজা রাখতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্য

হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্য রোজা খুবই উপকারী। রোজা রাখার ফলে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এছাড়া রোজা রাখার ফলে স্ট্রেস হরমোন করটিসেলের নিঃসরণ কমে। এতে বিপাক ক্রিয়া ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রোজা রাখলে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে বিধায় মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়, কর্মোদ্দীপনাও বাড়ে, যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য উপকারী।

পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে

সর্বক্ষণ চলতে থাকা পরিপাকতন্ত্রটি রোজা রাখা সময়টাতে একটু হলেও বিশ্রাম পায়। তবে পুরো দিন রোজা রেখে একসাথে অনেক খাবার খেয়ে ফেলবেন না।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন