ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালো ফলনেও লোকসানের মুখে বাঙ্গি চাষীরা

লালমি ও বাঙ্গি চাষ করে চলতি বছর লোকসানের মুখে পড়েছেন ফরিদপুরের চাষীরা। এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে খেতেই নষ্ট হচ্ছে লালমি-বাঙ্গি। কারণ দাম না পাওয়ায় এবং লকডাউনের কারণে বাজারে লোক সমাগম কম থাকায় চাষীদের কাছে যাচ্ছেনা পাইকাররা।

ফরিদপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি লালমি-বাঙ্গির আবাদ হয় সদরপুরের কৃষ্টপুর ও ভাষানচর ইউনিয়নে। চলতি বছর রোজাকে সামনে রেখে অধিক জমিতে লালমির আবাদ করেছিলেন চাষীরা। ফলন ভালো হলেও দাম না থাকায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে লালমি-বাঙ্গি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চাষীরা জানিয়েছেন, গত বছর করোনা থাকলেও বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসেছিলেন। ট্রাকে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে লালমি-বাঙ্গি নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। তবে এ বছর কেউই আসছেনা। ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকেও ব্যবসায়ীরা আসতেন লালমি-বাঙ্গি কিনতে। এখান থেকে কিনে নিয়ে তারা দোকানে ও ভ্যানে করে তা বিক্রি করতেন। এবার আসছেনা সেই ব্যবসায়ীরাও। তারা জানান, ক্রেতা না থাকায় চাষীরা এবার বেশ লোকসানের মধ্যে পড়বেন।

সদরপুরের মটুকচরের চাষী রাজিব বেপারী বলেন, এক বিঘা জমিতে লালমী-বাঙ্গি চাষ করতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। লকডাউনের কারণে এ বছর ঢাকা থেকে পাইকার না আশায় লালমী-বাঙ্গি বিক্রি করতে পারছিনা। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে লালমির আবাদ করলেও খরচ উঠা নিয়েই হিমশিম খেতে হবে।

কৃষ্টপুরের চাষী হান্নান মোল্যা বলেন, গত বছর প্রকারভেদে একেকটি লালমি-বাঙ্গি ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দিয়ে তাদের খরচ উঠানোই মুশকিল হবে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন