লকডাউনের ঘোষণা শুনেই সাধারণ মানুষ বেশি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাড়তি কেনাকাটা শুরু করে দেয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরাও পণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করে। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার বিকেলের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৫-১০ টাকা।
রাজধানীর পাইকারিবাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ানবাজার ও রামপুরা, বাড্ডা, মগবাজারসহ কিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকদিন ধরেই দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছিল। এ অবস্থায় শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানান। এই আতঙ্কে বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ করা গেছে।
রামপুরার একটি সুপারশপে গিয়ে দেখা যায়, কিছু ক্রেতা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, টিস্যুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অতিরিক্ত পরিমাণে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পণ্য কিনতে ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের তাড়াহুড়োও লক্ষ্য করা গেছে।
ক্রেতাদের একজন আল আমিন বলেন, ‘রোজার আগে এমনিতেই বেশি বাজার করতে হয়। যেহেতু লকডাউন আসছে তাই বাজারটা আগেভাগেই করছি’।
কারওয়ানবাজারে এক ক্রেতা বস্তায় ভরে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে ফিরছিলেন। আবুল কালাম নামের এই বেসরকারী চাকরিজীবির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লকডাউনে বাজার এড়িয়ে চলতেই একটু বেশি করে কেনাকাটা করেছি।’
ক্রেতাদের বাড়তি কেনাকাটার সুযোগ নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়াতে না পারলেও খোলা সয়াবিন বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২০-১২২ টাকার জায়গায় কোন কোন দোকানি ১৩০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করছে। এছাড়া আদা রসুনসহ বিভিন্ন পণ্য কেজিতে ১০-১৫ টাকা করে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
হ্যান্ডস্যানিটাইজারের দাম নির্দিষ্ট থাকায় বাড়তি দাম নিতে না পারলেও রাস্তায় বিক্রি হওয়া সার্জিক্যাল মাস্ক বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আগে যেখানে ৪-৫টি মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি হত, এখন সেখানে দুটি মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আনন্দবাজার/শহক