ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইটে আর্থিক অবস্থার ভুল তথ্য প্রকাশ করায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (এসিআই) মার্কেট অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান সায়িদ মাহমুদ জুবায়েরকে বরখাস্ত করা হয়।
একইসঙ্গে ওই বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয় উপ-মহাব্যবস্থাপক কামরুন নাহারকে। বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ডিএসইর ইন্টারন্যাল অডিটের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শেখ মাহমুদুল্লাহকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে- ডিএসইর সার্ভিলেন্স বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আব্দুল লতিফ ও কমন সার্ভিসের এজিএম আব্দুল ওয়াহিদকে।
এরপর ডিএসইর চেয়ারম্যান এসিআইয়ের আর্থিক হিসাব ভুলভাবে প্রকাশের জন্য ম্যানেজমেন্টকে আরও খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন। বিষয়টি ভুল নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখতে বলেন। এরই অংশ হিসেবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করল ডিএসই।
মঙ্গলবার লেনদেন শুরু হওয়ার আগে এসিআইয়ের প্রথম প্রান্তিকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসহ শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হিসাবে ৫ টাকা ১৯ পয়সার তথ্য প্রকাশ করে ডিএসই। অথচ প্রকৃত তথ্য এই প্রান্তিকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসহ এসসিআইয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৯৯ পয়সা।
বড় ধরনের লোকসানকে বড় মুনাফা আকারে প্রকাশ করায় কোম্পানিটির শেয়ার দাম লেনদেনের শুরুতেই বেড়ে যায়। আগের কার্যদিবসে ২২৯ টাকায় থাকা এসিআইয়ের শেয়ার দাম দ্রুত বেড়ে ২৭০ টাকায় উঠে যায়। লেনদেনের শুরুতে লোকসানের তথ্য মুনাফা আকারে প্রকাশ করা হলেও লেনদেন শুরুর ২২ মিনিট পর তা সংশোধন করা হয়।
সংশোধনীতে ডিএসই জানায়, এসিআইয়ের সমন্বিত হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৯৯ পয়সা। এই সংশোধনী দেয়ার পর কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে থাকে। আর লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ২৪২ টাকায়।
আনন্দবাজার/ইউএসএস