আমরা পৃথিবীতে কেউ চিরদিন বেচেঁ থাকব না। সকলকেই এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে, কিন্তু থেকে যাবে আমাদের কর্মের ফল। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে হালিমা বেগম (৯৫) নামের এক অসহায় বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করলেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিম উদ্দিন। ওই বৃদ্ধা উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের দামোদারপুর সৌলা গ্রামের মৃত-রজ্জব আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
দারিদ্রের কসাঘাতে ও পরিবার বোঝা ব্যাধীগ্রস্থ, বয়সের ভারে নূয়ে পড়া হালিমা খাতুন। স্বামীর সংসার করা কালে তার কোন সন্তান না হওয়ায় স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নিজ গর্ভের কোন সন্তান না থাকলেও, সতীনের দুই ছেলে মেয়েকে জন্মের পর থেকেই লালন পালন করে বড় করেছেন হালিমা। নিজের নামে থাকা অর্থ-সম্পদ ও জমিজমা সবই লিখে দিয়েছেন দুই ছেলে মেয়ের নামে। তিনি হাঁটা চলা করতে পারেন না। বৃদ্ধকালে ওই সন্তানরা ওই মাকে আর দেখা শুনা করে না। কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওই বৃদ্ধার বয়স্ক ভাতার কার্ডও করে দেননি। গেলো ২৭ মার্চ শনিবার সকালে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় শতিনের ছেলে আতিয়ার রহমান। বিষয়টি ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আজিম উদ্দিনকে মুঠো ফোনে জানানো হলে ওসি রাত সাড়ে ৩ টার দিকে দ্রুত বৃদ্ধা হালিমাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে ছেলে আতিয়ার রহমানকে আটক করে পুলিশ।
ওসি আজিম উদ্দিন বৃদ্ধাকে একটি হুইল চেয়ার উপহার দিয়েছেন এবং সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাশ প্রদান করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রবিবার দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম শুকনো খাবার ও বয়স্ক ভাতার কার্ড আতিয়ার রহমানের হাতে তুলে দেন।
এদিকে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক হালিমা বেগমকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান ও তাকে একটি সরকারী ঘর করে দেওয়ার আশ্বাশ প্রদান করেন।
আনন্দবাজার/শাহী/রুবেল