ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার মত অসম্মানের বিদায় যেন কারো না হয়: মাশরাফী

বিদায় বেলায় আমার মতো আর কোন ক্রিকেটারের এমন সম্মানহানি যেন না হয়। সবিনয় অনুরোধ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। সমালোচনায় বোর্ড কর্তারা ক্ষুব্ধ না হয়ে পজিটিভলি নিলেই মঙ্গল। একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন মাশরাফি।

বাংলাদেশ উদযাপন করছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে দেশে। তবে দেশজুড়ে এত আনন্দ উদযাপনের মধ্যেও যে বিতর্ক সব ছাপিয়ে পুরো জাতির সামনে তা হলো দেশের ক্রিকেট, সাকিব, মাশরাফী আর বোর্ড কর্তারা।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেন, ‘শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করতে চাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ববেং সেই সাথে স্মরণ করতে চাই প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে যারা যুদ্ধের সময় শহিদ হয়েছেন। যারা পরে বয়োবৃদ্ধ হয়ে মারা গেছেন ও যারা জীবিত আছেন প্রত্যেককেই স্মরণ করতে চাই। সত্যি কথা খুবই আনন্দিত ও খুবই ভালো লাগছে আমরা এ রকম একটা সময়ে সাক্ষী হতে পারছি।’

তবে জাতির সুবর্ণজয়ন্তীর এমন লগ্নেই ক্রিকেটে কেন এত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। সে বিষয়ে মাশরাফী বলেন, ‘এটা আপনি কিভাবে নিচ্ছেন এটা হচ্ছে বিষয়। আলোচনা হচ্ছে, সমালোচনা হচ্ছে বলে জিনিসটা খারাপ হচ্ছে এটা ধারণা করা ভুল। যে আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে এগুলো বহির্বিশ্বও মেইনটেইন করে আসছে, আমরা করে আসিনি। আমি মনে করি এখানে যারা দায়িত্বে আছেন, এই আলোচনাটাকে পজিটিভলি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।’

তবে ক্রিকেট পাগল জাতি গেল বিশ বছর যে নিখাদ মাশরাফীকে পেয়েছে, সেই ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিকের একটা আনন্দঘন বিদায় হতেই পারে। অপেক্ষা শুধু তার জন্যই।

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা আরো বলেন, ‘যেটা হয়নি সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই, কিন্তু কথা বলতেই হবে যেন সামনে এ রকম না হয়। ওনারা রাগ করলেই কি আমি কথা বলা বন্ধ করবো? আমার সাথে কমিউনিকেশন করলে আমি চুপ করে যাবো তা না। আমাকে যে সম্মানহানি করা হয়েছিল ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সময় সেটাতো আমি ফিরে পাবো না। আশা করি সামনে যে খেলোয়াড়রা বিদায় নিবে ক্রিকেট থেকে। সাকিব, মুশফিক, তামিম, রিয়াদ ওদেরও আস্তে আস্তে সময় আসছে। তাদের বিদায়টা যেন অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে হয়। এবং এই কালচারটা যেন আমাদের তৈরি হয়।’

খোলা আকাশের মুক্ত বিহঙ্গের মতো, বিসিবি’র সঙ্গে বাঁধাধরা সম্পর্কটা আর নেই মাশরাফীর। তবে তার মতো গ্রেটের এই আক্ষেপটা কাটানো উচিত বিসিবির।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা জানান, ‘আমার সাথে কমিউনিকেশন করা ক্রিকেট বোর্ডের জন্য খুব জরুরি না। কারণ না আমি এখন ক্রিকেট বোর্ডের বেতনভুক্ত খেলোয়াড়, না আমি ক্রিকেট বোর্ডের কোন কর্মকর্তা। বিদায় হয়তো সবার সৌভাগ্য হয়না, হয়তো আমি মারাও যেতে পারতাম। সেক্ষেত্রেও তো অন্য কোন সিনারিও হতে পারতো। আমার সাথে কমিউনিকেশন করলে আমি চুপ করে যাবো তা না। আমার সাথে কমিউনিকেশন করে যে তারা ঠিক হয়ে গেছে তা না। আপনার আউটকাম বা অ্যাকশনের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু সামনে কিভাবে চলবে।’

মাশরাফী আরো জানান, ‘ক্রিকেটকে আমি পছন্দ করি, ভালোবাসি। আমি ক্রিকেট এ কারণেই খেলি। এখন ক্যারিয়ারের এ সময়ে এসে আমি টাকার জন্যও ক্রিকেট খেলি না। অন্য কোন কারণেও খেলি না যে আমার এখান থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে।’

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন