বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। অনেকটা সময় এগিয়ে থাকলেও জিততে পারেনি তারা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে রুখে দিয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ইউক্রেন।
গতকাল বুধবার রাতে ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। অঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায়। তবে কিম্পেম্বের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে ইউক্রেন।
দুই দলের সবশেষ খেলায় গত বছরের অক্টোবরে এই মাঠেই প্রীতি ম্যাচে ৭-১ গোলে জিতেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার তেমন ছন্দেই দেখা যায়নি তাদের। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশে ১৮টি শট নেয় তারা। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারে কেবল ৩টি। একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভিয়ে জিরুদরা।
শুরু থেকে অধিকাংশ সময় বল দখলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স ১১তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। আদ্রিওঁ রাবিওর কাট ব্যাকে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে জিরুদের দুর্বল শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
১৯তম মিনিটে গ্রিজমানের দুর্দান্ত গোলে লিড নেয় ফ্রান্স। ইউক্রেনের এক ডিফেন্ডার হেডে বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ওই ফরোয়ার্ড বল পেয়ে জায়গা বানিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন। এই গোলের মাধ্যমে ফ্রান্সের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেলেন গ্রিজম্যান। ৩৪ গোল করে স্পর্শ করলেন ডেভিড ত্রেজেগেকে।
গ্রিজম্যানের গোলে লিড নেওয়ার পরবর্তী মিনিটেই সুযোগ পান এমবাপ্পে। তবে ডি বক্সের ভেতর থেকে বল উড়িয়ে মারেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। তারপর আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন অলিভার জিরুদ।
বিরতির পর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ইউক্রেন। ৫৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইউরো বাছাইয়ে অপরাজিত থেকে নিজেদের গ্রুপে সেরা হওয়া দলটি। ডি বক্সে সফরকারী মিডফিল্ডার সিদরচুককে শট নিতে দেখে নিজের বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোলরক্ষক হুগো লরিস। বল প্রেসনেল কিম্পেম্বের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
ম্যাচের বাকি সময় দারুণ আক্রমণাত্মক খেললেও ইউক্রেনের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি এমবাপ্পেরা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
আনন্দবাজার/টি এস পি