বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবার মুখ খুললেন টি-টোয়েন্টি থেকে তার অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গে। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস করতে যান অধিনায়ক মাশরাফি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই টস ছাপিয়ে আলোচনায় কেবল মাশরাফি। ততক্ষণে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটকে বিদায় বলে দিয়েছেন এই অধিনায়ক। এরপরই শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
অনেক সময়ে পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি মাশরাফি। অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি মাশরাফি জানান, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার জন্য তাকে বাধ্য করা হয়েছিল।
মাশরাফি বলেন, ওইখানে আমাকে করতেই হতো, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে আমাকে করতেই হতো (অবসর)। নিতে হয়েছে, বিস্তারিত বলতে যাব না। আমি কার থেকে সহযোগিতা পেয়েছি আমার সময়ে? ২০১১ বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়ে ডাক্তার ছাড়পত্র দেয়ার পরও আমাকে দলে নেয়া হয়নি। ২০১৭ সালে যখন অবসরে গেলাম, তখন আমার পাশে কেউ ছিল না দেশের মানুষ ছাড়া।
শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তড়িঘড়ি করেই এই অধিনায়কের সাথে বৈঠকে বসেন বিসিবির কর্তারা। তখনও তার গায়ে ট্রাভেলকিট ছিল। এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, আমি যখন শ্রীলঙ্কায় পা রেখে হোটেলে যাই, তখন ট্রাভেল স্যুটও খুলিনি। তখনই নিচে আমার সাথে বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকের পরই আমি ভাবি যে, কিছু একটা গোলমাল আছে। আমি সব সময় বলে আসতাম আমর সিদ্ধান্তগুলো কিন্তু হুট করেই হবে। আমি যখন বুঝতে পেরেছি সবার বিপরীতে থাকার প্রয়োজন নেই, তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আনন্দবাজার/টি এস পি