বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে তাপমাত্রা, মাসের শেষে হতে পারে তাপপ্রবাহ

প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা । এদিকে মার্চ মাসের শেষের দিকে তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকছে। রাজধানীর তাপমাত্রাও প্রায় ৩৫ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেছে। গরম অনুভূত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ঋতুরাজ বসন্তের দ্বিতীয় মাস চৈত্রের ৪ তারিখ। কাগজে-কলমে গ্রীষ্ম আসতে আরও বাকি প্রায় এক মাস। কিন্তু এর আগেই শুরু হয়ে গেছে গ্রীষ্মের আমেজ।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৭ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি। এর আগের দিন (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুরে, ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সোমবার ছিল সীতাকুণ্ডে, সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখন গ্রাজুয়ালি (ক্রমে) তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আমরা বলছি রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে আগামী তিন দিনের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।’

তিনি বলেন, ‘মার্চের শেষের দিকে দু-একটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। মূলত গরমটা বেশি হবে এপ্রিলে।’

‘এখন একটি-দুটি স্থানে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি অতিরিক্ত করেছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও এ রকম হলে সেটাকে আমরা তাপপ্রবাহ বলি না। একটি অঞ্চলে কয়েকটি স্টেশনে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি অতিক্রম করতে হয়, তবেই সেটা তাপপ্রবাহ হয়’ বলেন আফতাব উদ্দিন।

আরও পড়ুনঃ  বায়ুদূষণ: ঢাকাকে টপকালো গাজীপুর

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন