ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রুতি নাটক: “আমি বীরাঙ্গনা নই, মুক্তিযোদ্ধাও নই”

বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। যে জন্য পৃথিবী আজ আতঙ্কিত, সময় স্থির। মানুষ সব ঘরে বন্দি। স্বাথ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে জীবন যাপন। এই করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন জাতীয় রাষ্ট্র হিসেবে ৫০ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে। করোনার জন্য ঘর থেকে বাহিরের যাওয়ার সর্বক্ষেত্রে যখন সীমাবদ্ধতা টেনে দিয়েছে। ঠিক তখনই অনলাইনে প্রথম প্রচারিত হতে যাচ্ছে শ্রুতিনাটক “আমি বীরাঙ্গনা নই, মুক্তিযোদ্ধাও নই”।

শ্রুতিনাটকটির মূলগল্প লিখেছেন রানু হাফিজ। নাট্যরূপ দিয়েছেন সুরাইয়া আক্তার চিশতী রিমা। নাট্য নির্দেশনায়: রামতনু সাবুদ। আবহতরঙ্গ ব্যবস্থাপনায়: অতুনু মজুমদার।

শ্রুতিনাটকটিতে মূলত একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার ১৯৭১ সালে যুদ্ধ জয় ও ৭১ পরবর্তি সময় তার অবস্থান, অবমূল্যায়ণ এবং সর্বশেষে বীর প্রতিক খেতাবে প্রাপ্তি নিয়ে গল্প আবর্তিত হয়েছে । শ্রুতিনাটকটিতে বিভিন্ন চারটি চরিত্র রয়েছে।নাটকে রায়হান চরিত্রে কন্ঠ দিয়েছে কলকাতার মঞ্চনাট্য শিল্পী রামতনু সাবুদ, সাংবাদিক বন্ধু চরিত্রে কন্ঠ দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার, ফুল বানু চরিত্রে কন্ঠ দিয়েছে কলকাতার মঞ্চ নাট্য শিল্পী অনসূয়া ভট্রাচার্যদে এবং কাশেম চাচা চরিত্রে বাংলাদেশের শিল্পী মাহাদী হাসান কন্ঠ দিয়েছে।

এই শ্রুতিনাটকের একটি বিশেষ দিক হলো সম্পূর্ণ নাটকের সংলাপগুলো মোবাইলে রেকর্ড করে ওডিও এডিটিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।যা শিল্পচর্চার ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শিল্পীদের শ্রদ্ধাবোধের নিদর্শন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

“আমি বীরাঙ্গনা নই, মুক্তিযোদ্ধাও নই”শ্রুতি নাটকটি ২০ শে মার্চ শনিবার সৃজনের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব ও টুইটারে প্রচার হবে।এতে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমন্ডর সিরু বাংঙ্গালী।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের গুণিশিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন