চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৩ নং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়ার সাবেক রাঙ্গুনিয়া ৩নং ওয়ার্ডের কর্মকার পাড়া এলাকায় অবস্থিত শ্রী ভুবনেশ্বরী বেদন্ত মাঠ ও মিশনে আশ্রয়কেন্দ্রর ধকরা ত্রিপুরা(৬-৭) (বাসু দেব সেবিকার দেয়া নাম) নামের এক শিশু গত ২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার গন্ড পাড়া ৩০ নং বড়মেরুং এলাকার কিশোর ত্রিপুরার ছেলে ধকরা ত্রিপুরা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৩ নং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের কর্মকার পাড়া এলাকায় অবস্থিত শ্রী ভুবনেশ্বরী বেদন্ত মাঠ ও মিশনে আশ্রিত ছিলো। গত ১৪ মার্চ রাত থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, মিশনে দায়িত্বরত সেবিকা গীতা ভ্রাম্মণচারী জানান, কাউকে কিছু না বলে ছেলেটি পালিয়ে যায়। এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিয়ে ও মাইকিং করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় আজ (১৬ মার্চ) মঙ্গলবার সজল মজুমদার বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়রী নং ৬৭৯।
এদিকে মিশনে আশ্রিত থাকা শিশুরা জানান, ধগরা ত্রিপুরা বা বাসুদেব নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালে সেখানকার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সেবিকা গীতা ভ্রাম্মণচারী (মাতাজী) তাকে প্রচন্ড মারধর করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যা কিংবা রাতে মিশনের ভেতর থেকে শিশুদের আহাজারী চিংকার ও কান্নার আওয়াজ শোনা যেত। অনেক সময় দিনের বেলায়ও আশ্রিত শিশুদের দীর্ঘ সময় কান ধরে এক পায়ে রৌদে তাপে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এবং শিশুদের নির্মমভাবে পিটাতো। আবার অনেক সময় শিশুদের বিবস্ত্র করে পিটাতো সেবিকা গীতা মাতাজী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেবিকা গীতা মাতাজী পায়ে কয়েকটা বেতের বারি মারার কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহবুব মিল্কী বলেন, ‘মিশন থেকে এক শিশু নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করছি। কিন্তু এখনো কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই ভুবনেশ্বরী বেদান্ত মঠ ও মিশনে আশ্রিত এক শিশু পুকুরে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেও সেবিকাকর্তৃক মারধরের হাত থেকে বাচঁতে পালাতে গিয়ে পুকুরে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় বলে স্থানীয়রা জানান।
আনন্দবাজার/শাহী/মতিন